হার দিয়ে অভিযান শুরু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কেকেআরের

জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মঞ্চে বিরাট-রিঙ্কু সিংয়ের নাচ কিং খানের সঙ্গে। এরপর ম্যাচ। বিনোদন ভরপুর ইডেন গার্ডেন্সে। ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত ম্যাচ হলেও কেকেআর সমর্থকদের জন্য নয়। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। ঘরের মাঠে নতুন সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচ। নতুন ক্যাপ্টেন। শুরুটাও যথেষ্ট ভালো। কিন্তু খেই হারালো মিডল অর্ডারে। আর তাতেই ছন্দপতন। বোর্ডে মাত্র ১৭৪ রানের পুঁজি। ইডেনের পরিসংখ্যান তার পক্ষে ছিল না। এই ম্যাচেও তাই হল। হোমে হার দিয়ে অভিযান শুরু কলকাতা নাইট রাইডার্সের।

ইডেনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ থেকে আইপিএলে ইডেনে রান তাড়া করা দলই জিতেছে একডজন। মাত্র ২টি ম্যাচ জিতেছিল প্রথমে ব্যাট করা দল। আইপিএলে ক্যাপ্টেন্সির অভিষেক ম্যাচে নেমেছিলেন রজত পাতিদার ও অজিঙ্ক রাহানে। টস জিতে রান তাড়ারই সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি ক্যাপ্টেন। তাঁর টিমে চেজমাস্টার রয়েছেন। ফলে ভরসাও বেশি।

গত কয়েক দিন থেকেই আলোচনা চলছিল, রাহানে ক্যাপ্টেন হিসেবে ভালো, কিন্তু ব্যাটিংয়ে ভরসা দিতে পারবেন? প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নজর কাড়লেন। মনে করা হয়েছিল, তিনি ইনিংস অ্যাঙ্কর করবেন। শুরুতেই কুইন্টন ডি’ককের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কেকেআর। এরপরই রাহানের প্রবেশ। তবে অ্যাঙ্কর নয়, বিধ্বংসী ব্যাটিং। সুনীল নারিনের সঙ্গে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপও গড়েন। পরপর নারিন-রাহানের উইকেট হারাতেই চাপ বাড়ে। মিডল ও লোয়ার অর্ডার ভরসা দিতে পারেননি।

আরসিবির বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ত্রু«নাল পান্ডিয়া ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তাঁর স্পেলটাই পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায়। অজিঙ্ক রাহানে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন। নারিনের অবদান ২৬ বলে ৪৪। মিডল অর্ডারে তরুণ ব্যাটার রঘুবংশী ২২ বলে ৩০ রান করেন।

বোর্ডে ১৭৫ রানের টার্গেট এই আরসিবির কাছে অন্তত বড় নয়। আগের বারের তুলনায় তাদের মিডল অর্ডার অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। সে কারণেই আরও কাজটা সহজ হয়েছে। কিন্তু ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলির ওপেনিং পার্টনারশিপেই ওঠে ৯৫ রান। জুটি ভাঙে নবম ওভারে। কেকেআর প্রাক্তনী ফিল সল্ট ৩১ বলে ৫৬ রানে ফেরেন। বিরাট একদিকে বিধ্বংসী ব্যাটিং চালিয়ে যান। রজত পাতিদার ১৬ বলে ৩৪ ও লিভিংস্টোন ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন। বিরাট অপরাজিত ৫৯ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =