হতাশার মরসুম। মরসুম জুড়েই হতাশা। গত মরসুমে একটা তবু প্রাপ্তি ছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ অস্বস্তির কাটলেও গত বার কলিঙ্গ সুপার জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘ এক যুগ পর কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি এসেছিল। এবার ইস্টবেঙ্গলের মহিলা টিম ট্রফি জিতেছে। কিন্তু ছেলেদের টিমের মরসুম শেষ হল চূড়ান্ত হতাশায়। সুপার কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হেরে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। ২-০ গোলে জয় কেরালা ব্লাস্টার্সের। কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবে ব্লাস্টার্স।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে শুরু থেকেই হতাশা ছিল। মাঝ পথে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। কয়েক ম্যাচে পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়েছিল, ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু তা আর হয়নি। লিগ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। গত মরসুমে সুপার কাপ জয়ের সৌজন্যে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এএফসির টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেললেও নকআউটে শুরুতেই বিদায়।
কলিঙ্গ সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের তরফে কার্যত কোনও লড়াই দেখা যায়নি। প্রথমার্ধে আনোয়ার আলির ভুলে পেনাল্টি। প্রথম স্পটকিক ঠিকঠাক হয়নি। জিমিনেজ দ্বিতীয় সুযোগ মিস করেননি। দ্বিতীয়ার্ধে নোয়া আরও একটি গোল করে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইস্টবেঙ্গলকে। নোয়ার গোলার মতো শট। প্রভসুখনের হাতে লাগলেও লাভ হয়নি। ইনজুরি টাইমে নীশু কুমারের ভুলে দুর্দান্ত সুযোগ পান নোয়া। যদিও গোলটা করতে পারেননি। নয়তো ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে স্কোরলাইন ০-৩ হত।
ম্যাচে প্রায় একডজন শট নিলেও টার্গেটে নেই একটিও। ইস্টবেঙ্গলের পরিস্থিতি এমনই। ম্যাচ শেষে কোচ অস্কার ব্রুজো পরিষ্কার বললেন, ‘কোচ হিসেবে আমি দায় নিচ্ছি। এভাবে খেললে ইস্টবেঙ্গল কোনও টিমকেই চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। ওরা প্রথম গোলটা করার পরেই আমার টিম যেন জেতার ইচ্ছেটাই হারিয়ে ফেলে। চূড়ান্ত হতাশ।’