ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ফের স্বমেজাজে। অ্যাওয়ে ম্যাচে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল মোহনবাগান। এএফসি কাপে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু গত ম্যাচে জয়ের ধারায় ধাক্কা লাগে। টানা পাঁচটি জয়ের পর হারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে। শেষ মুহূর্তে হার বাঁচান আর্মান্দো সাদিকু। অ্যাওয়ে ম্যাচে মাত্র চার মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরছে তারা।
একঝাঁক প্লেয়ারের চোট। মোহনবাগানের পারফরম্যান্সে অবনতি হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। এই সমস্যার জন্যই ভুগতে হয়েছে এএফসি কাপে। আইএসএলে একটা ম্যাচ ড্র করতেই গেল গেল রব উঠেছিল। প্রত্যাবর্তনটা দারুণ ভাবেই হল। সেটা ম্যাচেই হোক বা টুর্নামেন্টে। ঘরের মাঠে মাত্র চার মিনিটেই এগিয়ে যায় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। মোহনবাগান বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে অনবদ্য গোল ফাল্গুনি সিংয়ের। পরিচিত সামারসল্ট সেলিব্রেশনেও মাতেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের গোলদাতা।
ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি মোহনবাগান। যদিও সমতা ফেরানোর গোলে ভাগ্য সঙ্গ দিল। ম্যাচের ১৫ মিনিট। লিস্টনের ফ্রি-কিক ফিস্ট করেন নর্থ ইস্ট গোলরক্ষক মির্শাদ। বল দীপক টাংরির গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। সমতা ফিরতেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে মোহনবাগানের। ২৮ মিনিটে অনবদ্য গোলে দলকে এগিয়ে দেন বিশ্বকাপার জেসন কামিংস। গোলর মুভ তৈরি হয়েছিল কার্যত মাঝমাঠ থেকে। অনিরুদ্ধ থাপার লং বল প্রতিপক্ষ বক্সে হেডে নামান আর্মান্দো সাদিকু। ডান দিকে এগচ্ছিলেন জেসন কামিংস। গোলের সুযোগ নষ্ট করেননি।
এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে তংদম্বা সিং রেড কার্ড দেখায় ১০ জনে পরিণত হয় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। ৭১ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে তৃতীয় গোল ডিফেন্ডার শুভাশিস বোসের। যে স্তরে সুযোগ তৈরি করছিল মোহনবাগান, জয়ের ব্যবধান বাড়তেই পারত। গত ম্যাচে রেড কার্ড দেখায় বেঞ্চে ছিলেন না হেড কোচ হুয়ান ফেরান্দো। মোহনবাগানে জয়ের পাশাপাশি আরও একটা স্বস্তি ফিরল। চোট সারিয়ে মাঠে নামেন মনবীর সিং। শেষ অবধি ৩-১ গোলে জয় সবুজ মেরুনের।