ভারত-পাকিস্তান স্বপ্নের ফাইনাল। সবকিছু যদিও ভারতের পক্ষে গেল না। টস জিতলেও সিদ্ধান্ত ঠিক হল না। এমার্জিং এশিয়া কাপ হলেও এ বছর থেকে বয়সের বালাই নেই। এত দিন অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট ছিল। ভারত তরুণ দলই নামিয়েছে। ভারতীয় স্কোয়াডের কারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নেই। টুর্নামেন্ট জুড়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স। এক মাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে। কিন্তু ট্রফির ম্যাচে কিছুই ঠিক হল না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। রানার্স ভারত। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক যশ ধুল। টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচ রান তাড়ায় জিতেছিল ভারত। ফাইনালে সেই পরিকল্পনা কাজে দিল না। প্রথমে ব্যাট করে ভারতকে ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। হাইভোল্টেজ ম্যাচে এত বড় লক্ষ্য বাড়তি চাপ। যদিও ভারতের শুরুটা ভালো হওয়ায় প্রত্যাশা বাড়ছিল। ওপেনিং জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন সাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মা। যদিও বিশাল কোনও পার্টনারশিপ গড়তে ব্যর্থ ভারত। এটাই ক্রমশ সমস্যা তৈরি করল। বাঁ হাতি ওপেনার অভিষেক শর্মা অর্ধশতরান করেন। বাড়তি প্রত্যাশা ছিল অধিনায়ক যশ ধুলের ওপর। ভালো ছন্দে ব্যাট করছিলেন। কিন্তু দলীয় ১৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হিসেবে ক্যাপ্টেন আউট হতেই ভারতের জয়ের সম্ভাবনা কমতে থাকে। ৩৯ বলে ৪১ রান করেন যশ। স্কোর বোর্ডে বিশাল লক্ষ্য, আস্কিং রেট বাড়তে থাকায় আরও চাপ তৈরি হয়। উইকেট বাঁচানোর চেয়ে রানের গতি বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক হল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ অবধি ২২৪ রানেই অলআউট ভারত। টানা দ্বিতীয় বার এমার্জিং এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হল পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে ডিআরএস না থাকায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশাও থাকল।