নীলগঞ্জে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ৭ জনের। আহত বহু। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সব জানতেন বিধায়ক। তাঁদের অভিযোগের তির সরাসরি খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দিকে। অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেও। নীলগঞ্জের লোকজন প্রকাশ্যেই বলছেন, টাকা খেয়ে বসে আছে পুলিশ। বেআইনি বাজি কারখানার দৌরাত্ম্য দেখেও চুপ থেকেছে পুলিশ-প্রশাসন। যদিও দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের পর বিতর্কের মধ্যেই রথীন ঘোষের যুক্তি, কে কোথায় বাজি মজুত করছে সব কী জানা সম্ভব নয়। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজি তৈরির আড়ালে নাকি ওই কারখানায় বোমা তৈরি হত। কিন্তু, সেসবে আমল না দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ‘বিক্ষিপ্তভাবে মজুত রাখা হয়েছিল। অন্য জায়গায় বাজি তৈরি করে ওখানে রাখা হয়েছিল।’ এদিকে এ ঘটনা চাউর হতেই ফের একবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে বিদ্ধ করে প্রশ্ন তুলে দিল পদ্ম শিবির।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘গোটা রাজ্যটাই বেআইনি। বেআইনি কারখানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় কথা বলেছিলেন। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টিম তৈরি হয়েছিল, বেআইনি বাজি কারখানা সরিয়ে দেওয়া হবে বলেছিলেন। আসলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো পুলিশকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহারে ব্যস্ত।’
এর উত্তরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ’বাজি কারখানা মানেই বেআইনি এটা তো ভুল। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি দাক্ষিনাত্য দেখেন, শিবকাশী দেখেন ওখানে তো বাজি শিল্প বিখ্যাত। ওখানে তো নিয়মিত বিস্ফোরণ হতেই থাকে। ফলে বাজি কারখানা তুলে দিতে হবে এই আওয়াজ যদি ওঠে এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটায় কিন্তু হাজার হাজার লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। বাজি একটা শিল্প।’ তবে এরই পাশাপাশি কুণাল দিলেন সাবধানতা-সতর্কতার পাঠও। কুণাল জানান, ‘কীভাবে সাবধনতা সঙ্গে কাজ করা যায় সেদিকে রাজ্য সরকার নজর দিচ্ছে, সতর্কতার কথা বলা হচ্ছে। এখন যদি রেল দুর্ঘটনা হয় তাহলে কি রেল তুলে দিতে হবে? এটা কী কথার কথা? এগুলো কোনও কাজের কথা হতে পারে না। যেটা হয়েছে সেটা পুলিশ-প্রশাসন দেখছে। সেখানে কোনও আপত্তিকর কাজ হয়েছে কিনা, ভুল-ক্রুটি হয়েছে কিনা, নিয়ম মেনে কাজ করা হয়েছে কিনা সব দেখা হচ্ছে।’