তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে (Turkey-Syria Earthquake) মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২১ হাজার। এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমে হওয়া ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের বিপর্যয়। আহত প্রায় ৭২ হাজার। এছাড়াও হাজার হাজার গৃহহীন মানুষ ঠান্ডা ও খিদেয় অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে রয়েছেন।
এদিকে ভূমিকম্পের পরে ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আহত অবস্থায় এতক্ষণ জল, খাবার ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবেন, এমন আশা প্রায় ছেড়েই দিচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা (Rescue Team)। তবে তাই বলে থামানো হচ্ছে না উদ্ধারকাজ।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের তরফে পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর প্রথম অংশ সিরিয়ায় পৌঁছয়।
বিগত চারদিন ধরেই উদ্ধারকাজ চললেও, প্রবল ঠান্ডা ও বৃষ্টিপাত উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্প থেকে যাদের প্রাণরক্ষা পেয়েছে, তারাও বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে পেটের খিদে ও চরম ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে খাবার তো দূর, পানীয় জলটুকুও পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ভেঙে পড়া বাড়িঘর, ফাটল ধরা রাস্তাঘাট পার করে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছনোর ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছেন অনেকে। হাসপাতালগুলির বাইরেও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বডি ব্যাগ, যা ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ও বিপুল মৃতের সংখ্যারই জানান দিচ্ছে।