তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে (Turkey-Syria Earthquake) মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল। আহতের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। মৃত্যুপুরীতে নতুন বিপদের নাম ভয়ংকর শীত। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না, ত্রুটি স্বীকার করলেন খোদ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোগান। যদিও ইতিমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশ।
এদিকে তুরস্কের (Turkey) ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১০ মিটার বসে গিয়েছে সেদেশের টেকটনিক প্লেট। কম্পনের উৎসস্থল তুরস্কের অবস্থান একধাক্কায় প্রায় ৬ মিটার নড়ে গিয়েছে, এমনটাই মত ভূতত্ত্ববিদদের। তবে পরবর্তী সময়ে তথ্য পেলে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলেই অনুমান। প্রাথমিক তথ্য থেকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূগর্ভস্থ ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি হয়েছে তুরস্কেরই। মাটি থেকে খুব কম দূরত্বে কম্পনের (Turkey Earthquake) উৎসস্থল হওয়ার জেরে পরপর একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে বলেই অনুমান ভূতত্ত্ববিদদের।
এর মধ্যেই সিরিয়া-তুরস্ক প্রশাসনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে খবর। বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোগান হতাশার সুরে বলেন, সবখানে পৌঁছতে পারছে না উদ্ধারকারী দল। তুরস্ক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রবল শীতে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। কোথাও তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৩ ডিগ্রিতে, কোথাও হিমাঙ্কের নিচে পৌঁছেছে তাপমাত্রা। তার সঙ্গে চলছে তুষারপাত আর বৃষ্টি। বহু এলাকায় রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় ধ্বংসস্তূপে রাস্তা বন্ধ। ওই সব এলাকায় উদ্ধারকারীরা পৌঁছতে পারছেন না। পৌঁছচ্ছে না ত্রাণও। এই অবস্থায় স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ভূমিকম্পে বাঁচলেও শীত আর খিদে জ্বালায় মরতে হবে তাঁদের। কোথাও কোথাও খাবার জলটুকু মিলছে না।
এদিকে বিপর্যস্ত দেশের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই ভারতের দু’টি উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে। গাজিয়ানতেপ প্রদেশে গিয়ে তারা কাজ শুরু করেছে।