মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে। যদিও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জখমদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। জঙ্গি হামলার সম্ভাবনার পাশাপাশি উঁকি দিচ্ছে, সিদ্দিকবাজারের ৭তলা বাড়িটির নীচের একটি দোকানে নিষিদ্ধ বিস্ফোরক মজুত রাখার সম্ভাবনাও। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-এর কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণ নাশকতা না কি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে সেনাবাহিনীও। কিন্তু বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বিল্ডিংটির যা অবস্থা, তাতে তা যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে বিল্ডিংটির বেসমেন্টে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি সূত্রের খবর, সংখ্যা শতাধিক। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। ফলে মৃত্যুমিছিল দীর্ঘতর হওয়ার আশঙ্কা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাজমুল হক জানিয়েছেন, আহতদের দেহে স্প্লিন্টারের ক্ষত রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার গুলিস্তান। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু সবেবরাত। তার ঠিক আগেই এই ধরনের বিস্ফোরণকে সন্ত্রাস হানা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ঘটনায় গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। তারা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।