রহস্যজনক অবস্থায় মালদা জেলা সংশোধনাগারে মৃত্যু হল এক বিচারাধীন বন্দির। আর এই ঘটনাকে ঘিরে জেলা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার পর ওই বিচারাধীন বন্দির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে।
পুলিশ এবং মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বিচারাধীন বন্দির নাম মহম্মদ শাহাউদ্দিন (৩৫)। তার বাড়ি বিহারের মুঙ্গের এলাকায়। পরিবারের রয়েছে স্ত্রী তারানু বিবি, দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার বছর আগে ফারাক্কা এলাকায় মহম্মদ শাহাউদ্দিনকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকেই মালদা জেলা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় ছিল। গত সাত দিন আগে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে বুধবার দুপুরে তাকে মালদা জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় পুনরায়। ফের ভোররাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা ওই বন্দিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনায় খবর পেয়ে মালদায় ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃতের স্ত্রী তারানু বিবি জানিয়েছেন, গত চার বছর আগে আমার স্বামীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরে আমার স্বামীকে জাল টাকার অভিযোগে ফাঁসানো হয়। সেই থেকেই আমার স্বামী মালদা জেলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। গত সাত দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমার স্বামীকে। বুধবার হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সংশোধনাগারে। এদিন সকালে আমরা ফোন মারফত খবর পাই আমার স্বামী মারা গেছে।
মৃতের স্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বারবার পুলিশের কাছে আবেদন জানাই যে আমার স্বামীকে চিকিৎসার জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হোক। কিন্তু নিয়ে যাওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে আমার স্বামীর।
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মালদা জেলার সংশোধনাগান কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি।