উলুবেড়িয়া: ভোররাত। গভীর ঘুম সকলের চোখে। কিছু বুঝে ওঠার আগে দাউ দাউ আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল গোটা একটা পরিবার। তার মধ্যে ছিল ১০ মাসের একরত্তিও। রবিবার ভোররাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত দক্ষিণপাড়ায়।
বাড়িতে আগুন লেগে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় মা-বাবা ও শিশুর। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক প্রৌঢ়া।
জানা গিয়েছে, পেশায় কাপড়ের কাটিং মিস্ত্রি ইয়াসিন মল্লিক, তাঁর স্ত্রী এবং ১০ মাসের সন্তান ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। সেখানেই ছিলেন ইয়াসিনের মা-ও। হঠাৎই রাত ৩টে নাগাদ ঘরে আগুন লাগে। ঘুমন্ত অবস্থাতেই চার জন অগ্নিদগ্ধ হন। ঘরেতেই মৃত্যু হয় ইয়াসিন মল্লিক, তাঁর স্ত্রী মহিমা বেগম এবং তাঁদের শিশুর। গুরুতর জখম হন বছর ৫৫-র নুরজাহান বেগম।
কীভাবে আগুন লাগল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে উলুবেড়িয়া থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ থেকে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের একটা ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। একই পরিবারের তিন জনের এহেন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকস্তব্ধ এলাকা। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
শনিবারই মহালয়ার দিনই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাওড়ার সাঁকরাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের একটি ভোজ্য তেলের গুদাম। প্রচুর পরিমাণে তল মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৫ হাজার বর্গফুটের গুদামটিকে গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। আগুনের তীব্রতায় দুমড়ে মুচড়ে যায় গুদামের শেড। নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথম আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মীরা। দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সাঁকরাইল ও ডোমজুড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমকল আধিকারিকরা। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। সেই ঘটনায় অবশ্য কোনও প্রাণহানি হয়নি। তবে উলুবেড়িয়ার আগুন প্রাণ কাড়ল তিন জনের।