কলকাতা : খুনের মামলায় অভিযুক্ত থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল খড়্গপুরের বাসিন্দা সোনুকুমার বর্মাকে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন গত অক্টোবর মাসে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
মামলাকারী প্রণয় বসাকের দাবি, গত ১১ অক্টোবর দেখা যায়, সোনুকুমার বর্মার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর ওই আঘাত লাগার জেরেই সোনুকুমার বর্মার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের দাগ বলছে বন্দির উপর অত্যাচার করা হয়েছিল। তার জেরেই সোনুকুমার বর্মার মৃত্যু হয়েছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করেছেন প্রণয় বসাকের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত অক্টোবর মাসে কদিন ধরে নিখোঁজ ছিল এক নাবালক। তারপর খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ওই নাবালকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ওই নাবালককে খুন করা হয়েছিল। ওই নাবালককে খুনের অভিযোগে তার দিদি লিজা কুমারী এবং দিদির বন্ধু সোনুকুমারকে গ্রেফতার করা হয়। খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সোনুকুমারকে লকআপে ভরে। ওই নাবালকের বাবা রেলের কর্মচারী ছিলেন। এই দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন অন্যান্যরা।