লিগ টেবলে প্রথম দুইয়ে শেষ করার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই দিকই আছে। প্রথম দুইয়ে থাকা মানে ফাইনালের জন্য দু-বার সুযোগ পাওয়া। এটা একদিক থেকে পজিটিভ মনে হতে পারে। কিন্তু আত্মতুষ্টি ঘিরে ধরলে এটাই নেগেটিভ। অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় সুযোগে পা হড়কানোর সম্ভাবনা থাকে। গৌতম গম্ভীর মেন্টর হয়ে আসার পর আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা আসতে দেননি টিমে। তেমনই কে নেই, তা নিয়ে ভাবনাও নয়। ফিল সল্ট দেশে ফেরায় চাপ তৈরি হয়েছিল। সেটা সমর্থকদের মধ্যে। মিচেল স্টার্ক পারফর্ম করতে না পারায়ও অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। গম্ভীর ভরসা রেখেছিলেন। এখন ট্রফি থেকে আর মাত্র এক ধাপ দূরে কেকেআর।
এক দশকের অপেক্ষা কি মিটবে? এর জন্য আরও একটা ম্যাচ জিততে হবে। সেই ট্রফির ম্যাচেই পৌঁছে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্য়বধানে হারাল কলকাতা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ট্রাভিস হেডের উইকেট ছিটকে শুরুটা করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। জোড়া ছয় মেরে ফিনিশ করলেন শ্রেয়স আইয়ার। মাঝে দাপট দেখালেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আমেদাবাদে কেকেআরের আইয়ারি, বিধ্বংসী সানরাইজার্সকে অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য।
মিচেল স্টার্কের দাপট, স্পিনারদের অনবদ্য বোলিংয়ে ১৫৯ রানেই অলআউট সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম সুযোগেই ফাইনাল নিশ্চিত করতে ১৬০ রান প্রয়োজন ছিল কেকেআরের। অনেক সময় অল্প রানের টার্গেটই চাপ হয়ে দাঁড়ায়। কেকেআর তেমন হতে দেয়নি। গুরবাজ ২৩ ও নারিন ২১ রানে ফেরেন। এরপরই মজবুত জুটি গড়েন ভেঙ্কটেশ ও শ্রেয়স। মাত্র ৪৪ বলে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুই আইয়ার। ৩৮ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয়।