ফের পাশবিক ঘটনার সাক্ষী হল যোগীরাজ্য। এক দলিত মহিলাকে ধর্ষণ ও খুন করে দেহ কেটে টুকরো টুকরো করল অভিযুক্তরা। উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় থাকতেন ৪০ বছরের ওই মহিলা। সন্দেহের তির তিন অভিযুক্তের দিকে। সকলেই পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজকুমার শুক্লা। এই ঘটনায় রাজকুমারের সঙ্গে আরও দু’জন জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিন জনেই। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
গিরওয়ানের তদন্তকারী আধিকারিক সন্দীপ তিওয়ারি জানিয়েছেন, শুক্লার একটি আটাকল রয়েছে। সেই আটাকল পরিষ্কারের কাজ করতেন মহিলা। মঙ্গলবার তিনি সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মহিলার কন্যার দাবি, তিনি যখন শুক্লার আটাকলে পৌঁছন, তখন একটি ঘরের ভিতর থেকে মায়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পান। সেই আওয়াজ শুনে ঘরের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। দরজা খুলতেই দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। মায়ের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এই ঘটনায় রাজকুমার এবং তাঁর দুই ভাই বাউয়া এবং রামকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আক্রমণ করেছেন যোগী প্রশাসনকে।