কলকাতা: ঘরের মধ্যেই রয়েছে ডাকাত দল, রিসেপশনিস্টকে ছবি দেখিয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পজিশন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে নির্দিষ্ট ঘরে দরজা ধাক্কা দিতেই আচমকা ছুটে আসে গুলি। গুলি ফুঁড়ে যায় সিভিক ভলান্টিয়ারের পায়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত ধরাশায়ী হয় তিন ডাকাত। কোনও শুটিং-এর দৃশ্য নয়। দক্ষিণেশ্বরের এক হোটেলেই দুপুর বেলা চলল শুট আউট। তিন ডাকাতকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। ধৃতদের নাম মহম্মদ সনু, আকতার আলি ও পারভেজ আকতার। ধৃতেরা কামারহাটির লুটবাগান এলাকার বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, গত ৬ জানুয়ারি ভোর রাতে খড়দা থানার ডাঙাডিঙলায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় পাঁচ জনের দুষ্কৃতী দল সশস্ত্র অবস্থায় হানা দিয়ে ৩৪ লক্ষ টাকা লুঠ করেছিল। ঘটনার দিন কারখানা কর্তৃপক্ষ রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। এদিন রহড়া থানার পুলিশ জানতে পারে, ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তরা দক্ষিণেশ্বর থানার বাচস্পতি পাড়া রোডের ডলফিন গেস্ট হাউসে লুকিয়ে রয়েছে।
গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ তিন জন ঢোকে। ২০৮ ও ২০৯ নম্বর রুম তিনজনে ভাড়া নিয়েছিল। বিকেলের দিকে পুলিশ ২০৯ নম্বর রুমে দরজা ধাক্কা দেয়। তখন ভেতরে থাকা দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সেই গুলি সিভিক ভলান্টিয়ারের পায়ে লাগে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সাউথ অজয় প্রসাদ সাংবাদিকদের জানান, এদিন বিকেল ৪-৩০ মিনিট নাগাদ রহড়া থানার আই সি-র নেতৃত্বে একটি টিম দক্ষিণেশ্বর ডলফিন গেস্ট হাউসে তল্লাশি অভিযান চালায়। একটি রুম থেকে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। আরেকটি রুমে লুকিয়ে থাকা আর একজনকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ওই দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সেই গুলি সিভিক ভলান্টিয়ারের পায়ে লাগে। যে সেভেন এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল। সেই আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গুলিতে গুরুতর জখম হন রহড়া থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মহম্মদ ইমরান ওরফে রেজাউল হক। তাকে তৎক্ষনাৎ চিকিৎসার জন্য বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।