পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনের নৈহাটি-কল্যাণী স্টেশনের মাঝে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। তার জন্য পাঁচ দিন বহু ট্রেন বাতিল করেছে রেল। খাতায়-কলমে কাজ হওয়ার কথা গভীর রাত থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত যাতে যাত্রীদের অসুবিধা কম হয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলছে অন্য কথা। অজস্র ট্রেন বাতিল করা হয়েছে তো বটেই উপরন্ত প্রতিটি ট্রেন গড়ে, দেড় থেকে দু ঘন্টা দেরিতে চলছে। অনেক নিত্যযাত্রীরা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের এই দুর্বিসহ যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ট্রেনে উঠে মধ্যরাত পার করে বাড়ি ফিরেছেন বহু নিত্যযাত্রী। ভিড় ঠাসা ট্রেনে ও প্লাটফর্মে গলদঘর্ম হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। শুক্রবার রাতের পরে শনিবার সকাল থেকেই আরো বেড়েছে ভোগান্তি। সকাল থেকে বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়েছে। ট্রেন দেরিতে চলার কারণে শনিবার সকালে বহু যাত্রীই নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। এদিন ও রবিবার আরও বেশি সংখ্যক ট্রেন বাতিল থাকার কথা। ফলে এই দুদিন যাত্রীদের যন্ত্রণা যে আরও তীব্র হয়ে উঠবে সে কথা বলাই বাহুল্য।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, “নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ করা মানে পরবর্তীতে পরিষেবা আরও ভাল হবে। উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিকের মাঝখানে আমরা এই সময়টা বেছে নিয়েছি যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়। জানি মানুষের হয়ত একটু সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা হবে না বলে এই সময়টা বেছে নিয়েছি। রাতের দিকে আমরা কাজ শুরু করি। হয়ত সকালের দিকে কাজ শেষ করতে একটু দেরী হচ্ছে। ২ দিন একটু কষ্ট করতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে আমরা অনেকটা সুবিধা পাব”।