দাদার দিল্লির আবার জয়, হারালো হায়দরাবাদকে

আবারও একটা থ্রিলার। শেষ ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। বল হাতে দিল্লির ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার মুকেশ কুমার। দীর্ঘ সময় আলোচনা, ফিল্ডিংয়ে বদল। স্ট্রাইকে ওয়াশিংটন সুন্দর। বল হাতে নিয়েছেন তিন উইকেট। শেষ ওভারে ২ রান নিয়ে শুরু করলেন। তার আগে ১১ বলে ২০ রান করে নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। তাঁর ওপর ভরসা রেখেছিল সানরাইজার্স শিবির। গ্যালারি থমথমে। এ মরসুমে শেষ ওভারে অনেক নাটকীয় মোড় দেখেছে আইপিএল। দ্বিতীয় ডেলিভারিই ডট বল মুকেশের। ফের চাপ বাড়ে সানরাইজার্স শিবিরে। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন। স্ট্রাইকে মার্কো জানসেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের হাতও ভালো। তবে কঠিন পিচে শেষ ৩ বলে ১০ রানের লক্ষ্য সহজ ছিল না। চতুর্থ বলেও এল সিঙ্গল। ২ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। শেষ বলে ৮ রান। নো বল ছাড়া এই রান সম্ভব ছিল না। শেষ ওভারে নায়ক ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মুকেশ কুমার। ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। টানা দুটি ম্যাচ জিতল দিল্লি। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁর সিদ্ধান্ত চমকে দেওয়ার মতোই। এ বারের আইপিএলে অধিকাংশ ম্যাচেই, বিশেষ করে রাতের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দেখা গিয়েছে। ভুবনেশ্বর কুমার প্রথম ব্রেক থ্রু দেন। অষ্টম ওভারে তিন উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দিল্লির ব্যাটিং বিপর্যয়। দিল্লিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে অক্ষর প্যাটেল-মণীশ পান্ডে জুটি। ৫৯ বলে ৬৯ রান যোগ করে এই জুটি। দু-জনের স্কোর ৩৪ রান। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও ভুল পরিকল্পনায় ডুবল সানরাইজার্স। ফর্মে থাকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম নামলেন অনেক পরে। স্পিনের বিরুদ্ধে ভালো খেলতে পারেনি হেনরিখ ক্লাসেনও। তাঁকেও অনেক পরে নামানো হল। ততক্ষণে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে চাপে সানরাইজার্স। তারপরও ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফিরেছিল সানরাইজার্স। তবে জিতে মাঠ ছাড়া হল না। শেষ ওভারে ১৩ রানের পুঁজি নিয়েও অনবদ্য বোলিং দিল্লির ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার মুকেশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 8 =