কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো হলে তবেই ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করবেন সরকারি কর্মীরা, এমনটাই স্পষ্ট বার্তা দিলেন সরকারি কর্মী এবং পেনশনারদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিনিধি। এ ব্যাপারে সরকারি কর্মী এবং পেনশনারদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফ থেকে তাঁধের বিস্তারিত দাবি জানানো হবে নির্বাচন কমিশনকে, শুক্রবার এমনটাও জানান তাঁরা।
এদিকে সূত্রে খবর, কাইজার মণ্ডল নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা এ প্রশ্নও তোলেন, ‘কে কাইজার? জার্মানির হয় জানতাম। এই সমস্ত চুনোপুঁটি কি বলল তা নিয়ে কিছু যায় আসে না। ও কি নির্বাচন কমিশনার না কি?’ একইসঙ্গে শাসকদলকে কটাক্ষ করে জানান, ‘রাজ্যের সংস্কৃতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, একজন সমাজবিরোধী নির্বাচন কমিশনারকে হুমকি দিচ্ছে!’ পাশাপাশি তাঁরা এও মনে করিয়ে দেন, ‘আমরা তো নির্বাচন কমিশনারের কর্মচারী। আমরা সাফ জানাচ্ছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া আমরা ভোটের কাজ করব না। পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তবেই আমরা ভোটে দাঁড়াব। তখন কাকে হুমকি দেবে। আমরা এ সব হুমকির তোয়াক্কা করছি না।’
প্রসঙ্গত, ডিএ আন্দোলনকারীদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ বলেছিলেন,‘ তিন নম্বর কলেনিতে একটা প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। সেখানে ২ জন শিক্ষক ১৬ জন ছাত্র রয়েছে। এদের আবার ভাতা দিতে হবে! যত খায় পোষায় আর না। ওঁরা আবার ভোট করাতে আসবে প্রিসাইডিং অফিসার হয়ে। ওঁরা যখন ভোট করাতে আসবেন তখন নিজেদের লোক ভেবে নেবেন না। ওদের মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তা করবি না। চাপে রাখবি।’ কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার এই রকম এক মন্তব্য ভালো চোখে নেননি তাঁরা। আর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুললেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।