মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারিরা। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন ডিএ আন্দোলনের আরও ঝাঁঝ বাড়ানোর। এখানেই শেষ নয়, সরকারি কর্মচারিদের দাবি, ‘আমাদের সরকার শুধু শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানিয়ে দিক কোথায় কোন বরাদ্দের টাকা লাগানো হয়েছে। খেলা-মেলা-ক্লাবের টাকা কোন খাত থেকে যাচ্ছে সেটা আমাদের জানিয়ে দেওয়া হোক।’ সরকারি কর্মচারীদের তরফে আন্দোলনকারীদের বার্তা, এই মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারকে জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চের। কারণ, ডিএ নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দাবি করেন, ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা ডিএ হিসেবে এখনও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর কী দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বকেয়া ডিএ-এর দাবি তোলা সরকারি কর্মচারীদের নন্দলাল বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই যে কথাগুলো বলছেন তা তিনি সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে গিয়ে বলুন না। মুখ্যমন্ত্রী একেরবার একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন কোনও ডিএ বকেয়া নেই, বকেয়ার দাবি কাল্পনিক। আরেকবার বলছেন বকেয়া মেটাতে গেলে ৪১ হাজার কোটি টাকা লাগবে। আমাদের দাবি ডিএ তো কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার। তা দিয়ে তো মানুষের অধিকারকে অগ্রাহ্য করা যায় না। ডিএ দিতে পা পারলে স্পষ্ট জানিয়ে দিক।’
এদিকে আবার রবিবার কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর পাশাপাশি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকেও দেখা গিয়েছিল। এরপর সোমবার আবার ধর্না মঞ্চে সমর্থন যোগাতে হাজির হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং শুভেন্দু অধিকারী। ডিএ দাবিতে শহিদ মিনারে ধরনায় বসা আন্দোলনকারীদের সমর্থনে বিরোধীদের এগিয়ে আসা আরও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসকদলের।
সোমবারে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ উগরে আন্দোলনকারী কিঙ্কর অধিকারী জানান, ‘রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের কি এভাবে বলা যায়? উনি রাজ্যের প্রধান তিনি সরকারি কর্মচারীদের নন্দলাল বলে ডাকছেন। এটা তো কোনও সৌজন্যমূলক কথা নয়। আমরা জানি গাছ নাড়ালে টাকা পাওয়া যায় না কিন্তু সরকারি কর্মচারিদের বাড়িতেও এমন কোনও টাকার গাছ নেই।’