শীর্ষ আদালতে পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি

মঙ্গলবারেও হল না ডিএ মামলার শুনানি। অর্থাৎ, মঙ্গলবারের পর তৃতীয়বারের জন্য পিছল ডিএ মামলা। আদালত সূত্রে খবর,
এদিন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা ব্যস্ত থাকার কারণে ডিএ মামলাটি ওঠেনি। আগামী ১১ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে মহার্ঘভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালানো আন্দোলনকারীদের মুখে ধরা পড়ে হাতাশার স্পষ্ট ছাপ।
উল্লেখ্য, এদিন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে শুনানির কথা থাকলেও আগামী মাসে তার শুনানি হবে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মাস চারেক আগে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন এই পিটিশন দাখিল করে। গত জানুয়ারি মাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সুপ্রিম কোর্টে তা পিছিয়ে যায়। মামলায় রাজ্যের তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল তাতে ত্রুটি ছিল বলে পিছিয়ে যায় বলেই তখন জানা গিয়েছিল। সেই সময় ১৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়। সেই শুনানিও হয়নি। সে সময় বলা হয়েছিল, ১৫, ১৬ তারিখ অন্য মামলায় চাপ আছে। এরপর ঠিক হয় ২১ মার্চ শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। এই জন্য তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া তিন মাসের সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার।
এদিকে ডিএ-র দাবিতে ৫২ দিন ধরে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চ করে আন্দোলন করছেন সরকারি চাকুরিজীবীরা। ৪০ দিন ধরে চলছে অনশন। এদিনের এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার ফলে তাঁদের অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হল। তবে এদিন মামলাকারীদের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ‘কোর্টের মামলা একটা অংশ। আমরা তো কোর্টের মামলার জন্য আন্দোলন করছি না। আমাদের আরও দু’টো দাবি আছে। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করতে হবে। দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে। কোর্টও চলবে, আমাদের লড়াইও চলবে।’ পাশাপাশি এও জানানো হয় যে, একটি সংগঠন কোর্টে মামলা করেছিল। কিন্তু এখন শক্তি সঞ্চয় করতে করতে ৬০টি সংগঠন একত্রিত হয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে এই যৌথমঞ্চ।
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘সবপক্ষের আইনজীবীই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আদালতের নিজস্ব ব্যস্ততার জন্য শুনানি হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টে এই ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ গুরুত্বপূর্ণ কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টের এই বেঞ্চ শুনছে। সেই কারণে আমাদেরটা শুনতে পারলেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 5 =