নিজস্ব প্রতিবেদ, বাঁকুড়া: সরকারি রেশন দোকান থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী বিলির অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের হাজরা পাড়ার একটি রেশন দোকানের বিরুদ্ধে। মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী ক ীভাবে ওই দোকান থেকে দেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তুলে আজ, সোমবার গ্রাহকদের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে ওই রেশন দোকানে। অভিযুক্ত রেশন ডিলারের ছেলে কার্যত অভিযোগের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
রেশন দোকান থেকে বিতরণ করা সামগ্রীর মান ও পরিমাণ নিয়ে গ্রাহকদের মতামত সংগ্রহ করতে সম্প্রতি উপভোক্তা সমীক্ষা চালাচ্ছে খাদ্য সরবরাহ দপ্তর। আর তার মাঝেই একটি রেশন দোকানের বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের অভিযোগে উত্তাল হল এলাকা। জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ আগে বিষ্ণুপুরের হাজরা পাড়া এলাকার রেশন ডিলার অচিন্ত দত্তর মৃত্যু হয়। তারপর দোকানটি কার্যত চালিয়ে আসছেন প্রয়াত ডিলারের ছেলে। সেই দোকান থেকেই নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠে আসছিল। ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকার গ্রাহকদের মধ্যেও।
সম্প্রতি গ্রাহকদের একাংশের দাবি, তাঁরা দেখেন ওই রেশন দোকান থেকে যে আটা গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে তার মেয়াদ একমাস আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। আটার প্যাকেটে লেখা রয়েছে উৎপাদনের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু গত সপ্তাহেও যে আটা রেশন দোকান থেকে দেওয়া হয়েছে, তার একটা বড় অংশই উৎপাদন করা হয়েছে ৬০ দিন আগে। বিষয়টি স্থানীয় রেশন ডিলারের নজরে আনেন গ্রাহকরা। অভিযোগ, গ্রাহকরা বিষয়টি রেশন ডিলারের নজরে আনলে অভিযুক্ত রেশন ডিলার গ্রাহকদের আশ্বাস দেন মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ওই আটা খেয়ে কোনও সমস্যা হবে না।
এরপরই গ্রাহকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে ওই রেশন দোকানে। রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এদিন সকাল থেকে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা। অভিযুক্ত রেশন ডিলার মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ভিড়ের কারণে তিনি মেয়াদের সময়কাল না দেখেই খাদ্য দপ্তরের সরবরাহ করা ওই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।