ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। ১৭তম সংস্করণ শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী আইপিএলে চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই প্রথম, সেটাই শেষ! এরপর থেকে চেন্নাইয়ের মাঠে আর সিএসকেকে হারাতে পারেনি আরসিবি। ১৭তম সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচেই চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। পরিসংখ্যান বদলাতে ব্যর্থ আরসিবি। ১৭৪ রান তাড় করে ৬ উইকেটে জয় চেন্নাই সুপার কিংসের। ধোনিকে ব্যাট হাতে নামতেই হল না। ম্যাচ জিতেও যেন আক্ষেপ সিএসকের!
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। পুরনো দলের বিরুদ্ধে চিপকে ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম ম্যাচ ডুপ্লেসির। ব্যাটিংয়ে শুরুটাও করেন দুর্দান্ত। মাত্র ২৩ বলে ৩৫ রান ডুপ্লেসির। এর মধ্যে ৮টি বাউন্ডারি! অর্থাৎ ৩২ রান এসেছে বাউন্ডারিতেই। যদিও ডুপ্লেসি ফিরতেই আরসিবি শিবিরে বিপর্যয়। ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
গত মরসুমে আরসিবির সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল মিডল অর্ডার। ডুপ্লেসি, বিরাট, ম্যাক্সওয়েল ফিরলেই আরসিবি ব্যাটিংয়ের ইতি। এ বারও আশঙ্কা ছিল সেই মিডল অর্ডারই। প্রথম ম্যাচে ভরসা দিলেন অনুজ রাওয়াত ও ডিকে। ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৫৭ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। মাঝে পরপর উইকেট না হারালে আরসিবি অন্তত ১৯০ করতে পারত। শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন তুষার দেশপান্ডে। চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৭৪ রানের টার্গেট দেয় আরসিবি।
চেন্নাইয়ে যেমন স্পিন সহায়ক পিচের প্রত্যাশা করা হয়, এ দিন অবশ্য তেমন কিছু ছিল না। ব্যাটিং পিচ বলা যায়। বাউন্সও খুবই ভালো। যা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন আরসিবি বোলাররা। লাগাতার শর্টপিচ ডেলিভারি বিব্রত করছিলেন সিএসকে ব্যাটারদের। আরসিবিকে এই ম্যাচ জিততে উইকেট নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শিবম দুবেকে নামায় সিএসকে। জাডেজার সঙ্গে ভরসা দেন শিবম। গত মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন। এ বারও শুরুটা ভালো করলেন।