পিচ ধোঁয়াশায় সিএসকের জোড়া হার

ঘরের মাঠে প্রথম দু-ম্যাচে জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল বিশাখাপত্তনমে। সেই ম্যাচে হার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মাঠেও হার চেন্নাই সুপার কিংসের। তবে শেষ দিকে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। রক্ষা হল না। ৬ উইকেটে জয় সানরাইজার্সের। অস্বস্তির কারণ হয়ে রইল পিচ! বল পুরনো হতেই সব রাস্তাই যেন বন্ধ। শেষ অবধি সানরাইজার্স প্লেয়াররাও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।

মন্থর পিচের কারণে সমস্যায় পড়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাটাররা। পরের দিকে পিচ একটু হলেও ব্যাটিং সহায়ক হবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। চেন্নাইয়ের বিশাল ভুলটাই হয় প্রথম ওভারে। বোর্ডে সানরাইজার্সের লক্ষ্য ছিল ১৬৬ রান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা ট্রাভিস হেডকে খালি হাতে ফেরানোর সুযোগ ছিল সিএসকের। যদিও স্লিপে তাঁর ক্যাচ ফেলেন মইন আলি। এরপর একদম ঠিকঠাক এগচ্ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সকলকেই অবাক করেছিল পিচ। কখনও হাঁটুর নিচেও বল নেমেছে। চেন্নাই শিবিরে দক্ষ স্পিনার থাকায় চাপ ছিল।

ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়েছিলেন মইন আলি। এর নেপথ্যে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও। স্পিনের বিরুদ্ধে সানরাইজার্সের ভরসা ছিলেন শাহবাজ। রিভার্স সুইপ খেলেন। বোলার মইন আলি কিংবা ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় রিভিউ নেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন বলেছেন, ঋতুরাজ কি আর মানা করতে পারেন! করেননি। শাহবাজের উইকেট মিলতেই ম্যাচে ফিরেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।

শেষ ৪ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ রান। মনে হচ্ছিল, ম্যাচ ক্লোজ হবে। পেসাররা বোলিংয়ে আসতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ১১ বল বাকি থাকতেই জয় সানরাইজার্সের। সিএসকে শিবিরে একটাই আপশোস, আর ১০টা রান থাকলে! ম্যাচ ক্লোজ হতই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 15 =