কলকতা: ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি ছিল না। সেই স্থানের বদলে পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল ধর্মতলার ট্রাম টার্মিনাসের পাশে ছোট্ট একটুকরো জায়গায় সভা করার। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে জনজোয়ার ওলট-পালট করে দিল সব হিসেব নিকেশ। বাধ্য হয়েই সভাস্থল পরিবর্তন করে আনতে হল ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। এখানেই মাস কয়েক আগেই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ করেছিল তৃণমূল। এই সেই স্থান, যেখানে ইনসাফ সভার আয়োজন করার অনুমতি চেয়েও পায়নি এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই।
গত সপ্তাহে প্রেস ক্লাবে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কিন্তু ২০ সেপ্টেম্বর বাম ছাত্র-যুবদের ইনসাফ সভা হবে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই।পুলিশের অনুমতি পাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘পুলিশের অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার নেই। তবে কমরেডরা আসবেন। জায়গা না হলে মানুষ নিজের জায়গা করে নেবেন।’ জমায়েতের আয়োজনও হয়েছিল পুলিশের অনুমতি পাওয়া ওয়াই চ্যানেলে।
কিন্তু বেলা বাড়তেই কার্যত লাল তরঙ্গে ভেসে গেল শহরের প্রাণ কেন্দ্র। আনিস খান হত্যা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য চাকরি দেওয়া, একাধিক সমস্যার সমাধান চেয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুবদের দু’টি শাখা এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই। পুলিশি অনুমতি না থাকলেও, এদিন কোনওরকম উত্শৃঙ্খলতা ছাড়াই জমায়েত পৌঁছে যায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে।বিনা সংঘাতে নিজেদের শক্তি দেখাল সিপিএমের ছাত্র-যুবরা।
আনিস খান হত্যা থেকে শুরু করে কলকাতার রাস্তায় দিনের পর দিন আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য চাকরি দেওয়া— সব সমস্যার বিহিত চেয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুবদের দু’টি শাখা এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই।ঠিক হয়েছিল, শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশন এবং পার্ক স্ট্রিটে বাম ছাত্র-যুবরা জমায়েত করে, সেখান থেকে মিছিল করে যোগ দেবেন ধর্মতলার রানি রাসমনি রোডের সভাস্থলে। অথচ তিনটি মিছিলে এতটা জন সমাবেশ হবে, তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। সেই মিছিল এদিন শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে।