রাত পোহালেই শুরু বিশ্বকাপ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখানেই শুরু। ভেনু এক নয়। তবে এ বারের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি ২০১৯-এর দুই ফাইনালিস্ট। গত ওডিআই বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য স্মরণীয়। প্রথম বার ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। কিন্তু ম্যাচের ফল নিয়ে অনেকেরই অসন্তোষ কাটেনি। লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। একশো ওভারের খেলা শেষে টাই! শুধু তাই নয়, সুপার ওভারেও টাই নয়। কে বেশি বাউন্ডারি মেরেছে এই নিয়মে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হয়। ঘরের মাঠে খেতাব জেতে ইংল্যান্ড। সেই নিয়ম নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়। এ বারের বিশ্বকাপে রয়েছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম।বিশ্বকাপের ইতিহাসে অনেক ম্যাচই টাই হয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতের মাটিতে। সেই বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ টাই হয়। ২০১৯-এর মতো একই ফরম্যাট এ বারের বিশ্বকাপেও। দশ দলের টুর্নামেন্ট। রাউন্ড রবিন ভিত্তিতে খেলা। সেরা চারটি দল সেমিফাইনালে। তারপর ফাইনাল। লিগ পর্বে টাই হলে সমস্যা নেই। কিন্তু সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল ম্যাচ টাই হলে, এ বার থাকছে নতুন নিয়ম। নকআউটের ম্যাচ টাই হলে প্রথমে অবশ্যই সুপার ওভার। কিন্তু গত বারের ফাইনালের মতো সুপার ওভারও টাই হলে! এক্ষেত্রে ফুটবলের মতোই চলবে। ফুটবলে যেমন টাইব্রেকারে ফয়সালা হয় এবং প্রথম পাঁচ শটে ফয়সালা না হলে চলতে থাকে। এ বার ক্রিকেটেও তাই দেখা যাবে! সুপার টাই হলে আরও একটা সুপার ওভার। যতক্ষণ না ফয়সালা হচ্ছে সুপার ওভারের পর সুপার ওভার চলতেই থাকবে! তবে এমন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবেই, তার সম্ভাবনা ক্ষীণ। একটা সুপার ওভারে ফয়সালা না হলে দুটো! এ বারের বিশ্বকাপে আরও একটা নিয়মে স্বস্তি ক্রিকেটারদের। এ বছরই সফ্ট সিগন্যাল নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপে প্রথম দেখা যাবে সেটি। আগে কোনও ক্যাচ নিয়ে অনফিল্ড আম্পায়ারদের সন্দেহ থাকলেও প্রাথমিক ভাবে কোনও একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হত। এরপর তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বা সফ্ট সিগন্যাল বদলাতে গেলে নিখুঁত প্রমাণ চাই। এ বার সেই সমস্যা অনেকটাই কম হবে। ক্যাচ ঠিকঠাক হয়েছে কিনা, মাঠের আম্পায়ারের কোনও সন্দেহ থাকলে সরাসরি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেই সিদ্ধান্ত চাইতে পারেন। বৃষ্টি! দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই নকআউটের তিন ম্যাচেই রিজার্ভ ডে-রাখা হয়েছে। লিগ পর্বে প্রতিটা দলই ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। সেখানে কোনও এক দুটি ম্যাচ ভেস্তে গেলে সংশ্লিষ্ট দলগুলির সমস্যা হবে। কিন্তু সেরা চারটি দল বেছে নেওয়ার জন্য় লিগ পর্বে যথেষ্ঠ ম্যাচ রয়েছে। এখনও অবধি নকআউটের যা সূচি রয়েছে তাতে প্রথম সেমিফাইনাল মুম্বইতে। মুখোমুখি হবে প্রথম ও চতুর্থ স্থানে থাকা দল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল খেলবে কলকাতায়। পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠলে! তাদের ম্যাচ পড়বে কলকাতাতে। ভারত সেমিফাইনালে উঠলে মুম্বইতেই খেলার কথা। আর যদি সেমিফাইনালে ভারত-পাকিস্তান হয়! সেই ম্যাচ কলকাতায় হবে। অঙ্ক জটিল। লিগ পর্বে না হলেও কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার সুযোগ মিলতেই পারে!