দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, আহত উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন

দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা হুগলির গোঘাটে। সিপিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সিপিএমের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ শাসকের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গোঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত হয় উভয়পক্ষের ১০-১২ জন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত, দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে। শনিবার গোঘাটের কামারপুকুর এলাকায় দেওয়াল লিখন করতে যায় সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী তাদের দেওয়াল লিখনে বাধা দেয়। তারপর শুরু হয় বচসা। সেখানেই বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আহতদের উদ্ধার করে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে, সেখানেও দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল চত্বরেও লাঠি, বাঁশ দিয়ে হামলা চালায়। এই বিষয়ে আহত এক সিপিএম কর্মী বলেন,আমাদের একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। তার জন্যই কামারপুকুরে ডাক বাংলো এলাকায় দেওয়াল লিখন চলছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক ডেকে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূলের লোকজন গাছের ডাল নিয়ে আমাকে মারধর করে। এলাকার মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারেনি। আক্রান্ত হয় বেশ কিছু সিপিএম কর্মী। সহদেব সামুই নামে আর একজন সিপিএম কর্মী বলেন, দেওয়াল লিখন চলাকালীন মারপিট হয়। কেন দেওয়াল লিখবি বলে আধমরা করে ফেলে দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলেও মারধর করা হয়। পুলিশ এলে তৃণমূলের লোকজন চলে যায়। যদিও শাসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাওড়া বলেন, তৃণমূলের দেওয়াল লেখা মুছে নতুন করে সিপিআইএন দেওয়াল লিখতে গেলে প্রতিবাদ করায় পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়। গোঘাটের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করছে। তবে ঘটনার পর একদিকে দেখা যায় দলীয় কার্যালয়ে সিপিএমের জমায়েত হয় অন্যদিকে পাল্টা জমায়েত করে তৃণমূলের স্লোগান হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় কামারপুকুর এলাকায়। ঘটনায় আহতদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − four =