যৌথ মঞ্চের ডাকা ১০ মার্চের ধর্মঘটে পাশে থাকবে বামেরাও

যৌথ মঞ্চের ডাকা ১০ তারিখের ধর্মঘটের পাশে থাকবে বামেরা। এক বিবৃতিতে এমনটাই জা্নালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। শনিবার এ বিষয়ে বামফ্রন্টের  একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রে খবর। এই বিবৃতিতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত সমস্ত শ্রমিক, শিক্ষক ও কর্মচারি সংগঠনগুলির বৃহত্তর যৌথ মঞ্চের-বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদান, স্বচ্ছতার সঙ্গে শূন্যপদে নিয়োগ, অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, বিভেদের রাজনীতি বন্ধ করা, রাজ্যে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার দাবিগুলিকে বামফ্রন্ট সমর্থন জানাচ্ছে। এই দাবিগুলির সমর্থনে যৌথ মঞ্চের আহ্বানে আগামী ১০ মার্চ শুক্রবারের ধর্মঘটের কর্মসূচীকেও বামফ্রন্ট সর্বতভাবে সমর্থন করছে। অন্যদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে সি পি আই (এম এল) লিবারেশনও। আগামী ১০ মার্চ সরকারি কর্মচারিদের ধর্মঘটের সমর্থনে ৫ মার্চ, রবিবার শহিদ মিনারে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থান মঞ্চে বিকাল ৩ টায় উপস্থিত থাকার কথা ন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের।

এদিকে আবার ইতিমধ্যেই এই বনধের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রমাপ্রসাদ সরকার। মামলাকারীর প্রশ্ন, মহার্ঘভাতা সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সেটা না পেলে বনধ ডাকা কি মৌলিক অধিকার তা নিয়েই। এদিকে এবার বনধের সমর্থনে একাধিক রাজনৈতিক দল আওয়াজ তুলতে শুরু করলে তাতে যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের তীব্রতা আরও বেশ খানিকটা বাড়বে এমনাটই ধারনা বঙ্গ রাজনীতিবিদদের।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের তরফে সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাতে খুশি করা যায়নি আন্দোলনকারীদের। তাঁরা তাঁদের অবস্থানে অনড়। আন্দোলন চলছেই। দফায় দফায় চলেছে কর্মবিরতি। বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমহারে ডিএ দিতে হবে, দাবি রাজ্য সরকারের আন্দোলনরত কর্মীদের। এরইমধ্যে ডাকা হয়েছে বনধ। তবে একন হাই কোর্ট কি রায় দেয় সবার নজর সেদিকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =