স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর এবার আদালতে তোপের মুখে কলেজ সার্ভিস কমিশন। কারণ প্যানেল প্রকাশ করা হলেও সেখানে কোনও নম্বরের ব্রেক-আপ নেই। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এরপরই কড়া ভাষায় বার্তাও দেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে। প্রশ্ন করেন, কেন নম্বরের ব্রেক আপ রাখা হয়নি তা নিয়েও। এরপরই ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে সে কথা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৩ অক্টোবর রয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, মোনালিসা ঘোষ নামে এক মামলাকারী অভিযোগ করেন, ২০২৩-এ কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে শুধু প্রার্থীদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশিত হলেও নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। সেই অভিযোগ নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মোনালিসা ঘোষ নামে ওই মামলকারী। তাঁর দাবি স্বচ্ছতা আনতে প্যানেলে নম্বর প্রকাশ করতে হবে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এরপরই শুনানির সময় কিসের ভিত্তিতে প্যানেল প্রকাশ করা হল, কমিশনের কাছে তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণা পত্র সহ বেশ কিছু দেখেই প্যানেলে নাম ওঠে। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজে কটি পেপার অর্থাৎ গবেষণা পত্র জমা দিয়েছেন, তা ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই। নম্বর প্রকাশ করলে সমস্যা কোথায়? প্রশ্ন করেন বিচারপতি। চেয়ারম্যান দীপক করের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ওঁকে মনে করিয়ে দেবেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য এখন জেলে আছেন।’
উল্লেখ্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্যও কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। কমিশনের আইনে কেন প্যানেলের কোনও সংজ্ঞা বলা নেই দেখেও এদিন বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়।