নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি আদালতের

নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গণে দুর্গাপুজো করায় ‘না’ বলা হয়েছিল নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ-এর তরফ থেকে। এরপরই পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পুজো উদ্যোক্তারা। শুনানি হয়ে গেলেও শুক্রবার সেই মামলার রায়দান ছিল। এই মামলার রায়দান করতে গিয়ে আদালত নির্দেশ দেয়, নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গণে ‘মানবজাতি কল্যাণ সমিতি’ দুর্গাপুজো করবে। শুধু তাই নয়, এই পুজো তারা বিনা শর্তেই করতে পারবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। বিচারপতির নির্দেশ, শুধুমাত্র জায়গার ভাড়াটুকু নিয়ে পুজোর অনুমতি দিতে হবে এনকেডিএকে।

এই মামলায় শুনানিতে মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, গতবছর মানবজাতি কল্যাণ সমিতি নিউটাউন বাস স্ট্যান্ডে পুজোর অনুমতি চাইলে তা নাকচ করে দেয় এনকেডিএ। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশে মেলা প্রাঙ্গণে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। এই বছর আবার মেলা প্রাঙ্গণে পুজোর অনুমতি চাইলেও তা দিতে চায়নি এনকেডিএ। এনকেডিএ-এর তরফ থেকে অনুমতি না মেলাতেই  আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন পুজো উদ্যোক্তারা।

এর আগের শুনানিতে এই পুজো করতে না দেওয়ার কারণ হিসাবে মামলাকারী প্রশ্ন তোলেন, এনকেডিএ কর্তা দেবাশিস সেনের স্ত্রী এখানে পুজো করেন। সেই পুজোর জৌলুস যাতে না কমে সে কারণেই কি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়েই। সেদিন হিডকো ও এনকেডিএর তরফে আইনজীবী জানান, গতবার ব্যতিক্রমীভাবে পুজোর যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা ব্যতিক্রম। উদ্যোক্তারা বাস স্ট্যান্ডে পুজো করতে চেয়েছিলেন, আদালত মেলা প্রাঙ্গণে করার অনুমতি দেয়। কারণ সেখানে অনুমতি দিলে ট্রাফিকের সমস্যা হতো। এছাড়া প্রত্যেক হাউজিংয়েরও পুজো হয়।

এরপরই বিচারপতি জানতে চান, তাহলে এ বছর সেই জায়গায় পুজোর অনুমতি দিতে কী সমস্যা তা জানতে চান বিচারপতি। তবে এর কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। এই মামলায় শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত ছিল। শুক্রবার সেই রায়দান হল। এ প্রসঙ্গে এনকেডিএর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 3 =