ব্যারাকপুর : বড়সড় বিপদ এড়াল ডাউন কৃষ্ণনগর লোকাল। শ্যামনগর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তেই খুলে গেল ট্রেনের কাপলিং। আলাদা হয়ে গেল পাঁচটি বগি। আচমকা এই ঘটনায় রবিবার আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়ে ট্রেনের যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন। ট্রেনের দু’টি কামরা এই কাপলিং দিয়েই জোড়া থাকে। সেটা খুলে যেতেই বিপত্তি।
রবিবার বিকেল ৪-৫০ মিনিট নাগাদ শ্যামনগর স্টেশনে এই ঘটনায় ২ নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। শ্যামনগর স্টেশনে ৩১৮৩০ ডাউন কৃষ্ণনগর লোকালের কাপলিং খুলে যাওয়ায় ২ নম্বর লাইনে আটকে পড়ে ডাউন বর্ধমান লোকাল। এদিকে শ্যামনগর স্টেশনে এই বিপত্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেলের অধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ও আরপিএফ। কিছুক্ষণ বাদে ট্রেনটি অর্ধেক কামরা নিয়েই ব্যারাকপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
পাঁচটি কামড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির বাকি অংশ ইঞ্জিনিয়াররা মেরামতি করার করেন। তারপর সন্ধে ৬-৫০ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি শ্যামনগর স্টেশন ছাড়ে। এরপর দু’নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। চার নম্বর লাইন দিয়ে শিয়ালদহগামী ডাউন ট্রেনগুলোকে পাশ করানো হয়।
ওই ট্রেনের যাত্রী অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘ব্যারাকপুর যাওয়ার জন্য শ্যামনগর স্টেশন থেকে ডাউন কৃষ্ণনগর লোকালে উঠেছিলাম। ট্রেনটি ছাড়তেই খুব জোরে একটা ঝাঁকুনি দিল। ঝাঁকুনির পর দেখলাম বগির জয়েন্ট খুলে আলাদা হয়ে গেল। যাত্রীরা অনেকেই আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন।’ অভিজিতের দাবি, চলন্ত অবস্থায় বগি খুলে গেলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেত। অন্য দিকে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দোকানদার লক্ষ্মী মিত্র বলেন, ‘ট্রেনটি ছাড়তেই খুব জোরে একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম। দেখলাম ট্রেনটির বগি দু’ভাগে ভাগ হয়ে কিছুটা এগিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। ভয়ে ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ওই ট্রেনের যাত্রীরা ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ডাউন ট্রেনে চেপে গন্তব্যস্থলে পৌঁছন।’