কলকাতা: হরিদেবপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল জোড়া মৃতদেহ। স্বামীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্ত্রী। খোঁজ করতে গিয়েই বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট হাজির হন স্ত্রী। ঘর থেকে উদ্ধার হয় বধূর স্বামী রবীন্দ্র কুমার চৌরাশিয়ার(৪৫) দেহ। মেঝেত পড়েছিল একজন মহিলার দেহ। তাঁর নাম সাগুপ্তা পারভিন(২৫)। রবীন্দ্রকুমার চৌরাশিয়া বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার আদর্শ নগরের বাসিন্দা।
এই মৃত্যু নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল একজন অন্যজনকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর একটি সুইসাইড নোট। সেখানে রবীন্দ্র লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী বন্ধবী সাগুপ্তা পারভিন। মহিলা তাঁর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। পুলিশের অনুমান, বান্ধবীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মহত্যা করেন পেশায় ইলেকট্রিক কন্ট্রাক্টর রবীন্দ্র চৌরাশিয়া। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জটিলতায় এমন মর্মান্তিক পরিণতি বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের।
জানা গিয়েছে, বিবাহিত রবীন্দ্রের দুই সন্তান রয়েছে। হরিদেবপুরের চাঁদের ভিলেজ এলাকায় ৩ বছর আগে ফ্ল্যাট কেনেন। তিনি স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে বেহালায় থাকতেন। রবীন্দ্রের স্ত্রী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ। স্বামীকে খুঁজতে খুঁজতে তিনি হরিদেবপুরের ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছন। কিন্তু দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে দরজা ভাঙে। দেখা যায় ভিতরের ঘরে সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয় রবীন্দ্রর। মহিলার দেহ মাটিতে পড়েছিল।