খোদ কলকাতায় জালনোটের কারখানা!দুই পাচারকারী গ্রেপ্তার হতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা: কলকাতার বুকে জালনোট ছাপার কারখানা! ২ জালনোট কারবারি এসটিএফের হাতে আসতেই, বেরিয়ে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জাল নোট পাচারের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের কাছে মিলেছে ৭০ হাজার টাকা। জালনোটগুলি ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বুধবার হাতিয়ারাটে তল্লাশি চালিয়ে জালনোটের কারখানার হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই কারখানায় জাল নোট ছাপিয়েছিল ধৃতরা। মিলেছে জালনোট তৈরির সামগ্রী। ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, কালার প্রিন্টার, ছাপা নোট মাপ মতো কাটার কাঠের টুকরো, নোট কাটার জন্য ছুরি, স্ট্যাম্প, আঠা ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে। নোট ছাপার কারখানা থেকে মিলেছে ২১ হাজার টাকার জালনোট। ধৃতরা বড়সড় জালনোট পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছে এসটিএফের।

অন্যদিকে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে জাল নোট পাচারের নতুন একটি রুট সম্পর্কে তথ্য এসেছে। বাংলাদেশ থেকে নতুন রুটে কলকাতায় জালনোট আসছে। পাশাপাশি নেপাল থেকে পানিট্যাঙ্কি-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে চোরাপথে জাল নোট ঢুকছে। সিআইডি, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এই নতুন রুট সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপাল থেকেই উত্তরবঙ্গে চোরাপথে পাচার জাল নোট পাচার হচ্ছে। তবে সীমান্ত থেকে জাল নোট পাচারের ক্ষেত্রে বর্ষাকালটা বড় সুবিধার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলছেন, সীমান্তবর্তী অনেক জায়গাই জলমগ্ন। ফলে সীমান্তে রক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে সমস্যা হয়। আর সেই সুযোগই নিচ্ছেন জাল নোট পাচারকারীরা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে বিএসএফ ও এসএসবি’র গোয়েন্দাদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − fourteen =