কলকাতা: এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ রাজ্যে। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় শুরু হচ্ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতেই বুধবার বিশেষ বৈঠক বসছে নবান্নে। রাজ্যের সমস্ত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই স্বাস্থ্য ভবন তৈরি করেছে এক গোপন রিপোর্ট। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে মূলত জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। কোভিড, ডেঙ্গির পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কোথায় খামতি আছে, সেই বিষয়েই মূলত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
জনস্বাস্থ্যের নিরিখে রাজ্য কোথায় দাঁড়িয়ে, সে বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বুধবার নবান্নে স্বাস্থ্য প্রশাসনের বৈঠকে সেই রিপোর্ট নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, গোপন রিপোর্টে কোন ব্লকে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কেমন তা উল্লেখ করা হয়েছে। রং দিয়ে কোভিড চেনার বিষয়টিও রিপোর্টে উল্লিখিত।ডেঙ্গির ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় এ বছরের পরিস্থিতি ঠিক কীরকম, তাতেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২১ সালে বছরের ১৭ তম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৭। ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬১১। ২০২১ সালে পজিটিভিটি রেট ছিল ০.৬ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১.৫ শতাংশ।
তবে শুধু কোভিড বা ডেঙ্গি নয়, গোপন ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরে ১৫টি রোগের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে বাংলায়। তালিকায় রয়েছে আন্ত্রিক, খাবারে বিষক্রিয়া, ভাইরাল হেপাটাইটিসের মতো রোগ। তা নিয়েও হতে পারে আলোচনা।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে উদ্বেগের জেলাগুলি হল উত্তর ২৪ পরগনা (১১০), বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলা (৩৪), কলকাতা (৭১), মালদহ (৬২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭১) ও হাওড়া (৪৬)।কোভিড, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হতে পারে এ দিন। যেমন পূর্ত ভবনে রাজ্যের প্রথম এনটোমোলজিক্যাল ল্যাব তৈরি হয়েছে। সেই বিষয়েও কথা হতে পারে।
স্বাস্থ্য ভবন জোর দিচ্ছে ন্যাশনাল ব়্যাবিস (জলাতঙ্ক) কন্ট্রোল প্রোগ্রামেও। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে পূর্ব ভারতের প্রথম জলাতঙ্ক রোগ নির্ণয়ের ল্যাব।