হাওড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের বিভিন্ন স্থানে ছড়াচ্ছে ‘জয় বাংলা’। রাজনৈতিক সংক্রমণ নয়,কনজাংটিভাইটিস। চলতি কথায় এই রোগকে সকলে জয় বাংলা নামেই বেশি চেনে। এই রোগের সংক্রমণশুধু শিশুদের মধ্যেই নয় বরং এতে আক্রান্ত হচ্ছেন বড়োরাও। ছাত্ররা এই রোগে আক্রান্ত হলে তাদের ßুñলে না এসে বাড়িতে থাকারই পরামর্শ দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষও। চোখ লাল হয়ে ওঠা, চোখে ঘুম থেকে ওঠার পরে পিচুটি লেগে চোখ আটকে থাকা সহ চোখে ব্যাথা, আলোর দিকে না দেখতে পাওয়া এহেন রোগের একাধিক লক্ষণ রয়েছে। বুধবার এই প্রসঙ্গে আন্দুলের নিউ আন্দুল হায়ার ক্লাস ßুñলের প্রধান শিক্ষক কুন্তল সিনহা বলেন,’ বিগত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে অনেকের চোখে সমস্যা হচ্ছে। চোখে জল পড়া, চোখ চুলকানো, চোখে সংক্রমন সহ একাধিক লক্ষন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমরা অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ করেছি ওই পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠানোর জন্য এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায়। পাশাপাশি তাকে বাড়িতে একটু নিভৃতে রাখার চেষ্টা করা কারণ এর লক্ষন দেখে বোঝা যাচ্ছে রোগটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই আগাম সতর্কতা রাখলে সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আমাদের ßুñলে এখনও এর অনুপ্রবেশ না ঘটলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানতে পারছি। এছাড়াও বড়দের মধ্যেও এর সংক্রমণের প্রবণতা রয়েছে। তাই অভিভাবক ও পড়ুয়াদের সতর্ক করেই এর বিরুদ্ধে আমরা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।’
স্বাভাবিকভাবেই এই রোগকে নিয়ে চিন্তিত ßুñলের অভিভাবক থেকে পড়ুয়ারাও। এই রোগে সংক্রমিত হলে দিন সাতেকের জন্য চোখ নিয়ে সমস্যাতে ভুগছে আক্রান্তরা। বয়স্কদের চেয়ে ছোটদের এই রোগে সমস্যা বেশি হয় এটাও জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। এই রোগে আক্রান্তদের রোড চশমা ব্যবহার ও কোভিডের সময় মত নিজের হাত পরিষ্কার রাখা অনেকটাই এই রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়ে পারে সাধারণ মানুষকে বলেই অভিমত চিকিৎসকদের।