‘নন্দিনীকে ছাড়া এই জয় সম্পূর্ণ নয়‘, ভিডিও টুইটে বার্তা কংগ্রেসের

‘নন্দিনীকে ছাড়া এই জয় সম্পূর্ণ নয়।‘ অর্থাৎ, জয়ের শেষে উদযাপনেও নির্বাচন ইস্যু তুলে ধরল কংগ্রেস। সঙ্গে করা হল এক ভিডিও পোস্টও। যার ক্যাপশানে লেখা ছিল এই বাক্যবন্ধ।
শনিবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে উদযাপনে মাততে দেখা যায় কংগ্রেসের সব স্তরের নেতাকর্মীকেই। আর এই উদযাপনের আবহেই সবার হাতে উঠে আসে ‘নন্দিনী মিল্কে’র মিষ্টি। উদযাপনের মাঝেও কর্নাটকবাসী ও বিজেপিকে স্পষ্ট বার্তা কংগ্রেসের, ‘নন্দিনীকে ছাড়া এই জয় অসম্পূর্ণ।‘
কারণ, নির্বাচনমুখী কর্নাটকে অন্যতম একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়ায় ‘নন্দিনী মিল্ক’। নির্বাচনের এক মাস আগে এপ্রিলেই গুজরাতের আমূল ঘোষণা করে, বেঙ্গালুরুতে তারা ফ্রেশ মিল্ক ও দই বিক্রি করবে। আমূলের এই ঘোষণা মুহূর্তেই রাজনৈতিক মোড় নেয়। এদিকে কর্নাটক রাজ্য দুগ্ধ কর্পোরেশনের সংস্থা হল ‘নন্দিনী’। আমূলের এই ঘোষণার পরই কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ‘নন্দিনী’ ব্র্যান্ডকে ধ্বংস করার। আমূল বনাম নন্দিনী এক লহমায় কংগ্রেস বনাম বিজেপি মধ্যে এক বড় লডা়ইয়ের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। এরই পাশাপাশি কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের তূণে যুক্ত হয় বিজেপিকে বধ করার আরও একটি হাতিয়ার। যদিও বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা বারবার দাবি করেছেন নন্দিনীকে ধ্বংস করার কোনও অভিসন্ধি নেই তাঁদের। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছিলেন, ‘আমূল নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে।‘ তবে পাশাপাশি তিনি এও জানান, ‘আমূল একদিন দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে।‘ এমনই এক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পর নন্দিনী মিষ্টি দিয়ে শেষ বার্তা দিয়ে গেল কংগ্রেস।
শনিবার জয়ের পর কংগ্রেসের তাবড় নেতারা বেঙ্গালুরুতে একে অপরের মিষ্টিমুখ করান। আর মিষ্টিটা ছিল নন্দিনী ব্র্য়ান্ডের। মিষ্টির বাক্স হাতে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জানি নন্দিনী ছাড়া কর্নাটকে কোনও কিছুই সম্পূর্ণ নয়।’ এরপর সেই মিষ্টিই একে অপরকে খাইয়ে দেন খাড়্গে, সিদ্দারামাইয়া, শিবকুমাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 9 =