কর্নাটক বিধানসভা হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির তা মোটামুটি স্থির হয়ে যায় ভোট গণনার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই। এটাই স্পষ্ট হতে থাকে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতার পথে কংগ্রেস। এমন ট্রেন্ড সামনে আসতেই শুরু রাহুল ভজনার। পাশাপাশি একের পর এক কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীদের ভোট বাড়তে থাকায় পার্টি অফিসগুলিতে শুরু হয় যায় উৎসব।
এর মধ্যেই রাহুল গান্ধির একটি ভিডিয়ো মাইক্রো ব্লগিং সাইটে পোস্ট করে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল। সকাল ৮টা ৩৮-এ পোস্ট করা ৫০ মিনিটের ওই ভিডিয়োতে সোনিয়া পুত্রর জনসংযোগের ছবি নজরে আসে। ওই ভিডিয়োতে আগাগোড়া সাদা টি-শার্টে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। শুধু তাই নয়, সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজানো হয়েছে একটি ইংরেজি গানও।মাইক্রো ব্লগিং সাইটে পোস্ট করা ওই ভিডিয়োর ক্যাপশনে তিনটি লাইন লিখেছে কংগ্রেস। সেগুলি হল, ‘অমি অজেয়। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী। হ্যাঁ, আজ আমি অপ্রতিরোধ্য।’ শেষ লাইনটির পাশে একটি আগুনের ইমোজিও দিয়েছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, কংগ্রেসের রাহুল ভজনার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। চলতি বছরেই সনিয়া পুত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। সাংসদ পদ হারানোর পর বিজেপি-কে কড়া ভাষায় নিশানা করেন তিনি। কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়েও এই প্রসঙ্গ একাধিকবার তোলেন রাহুল গান্ধি। যা নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারের সময় মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধি। এর জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রাহুলকে দু’বছরের জেলের সাজা শোনান সুরাতের আদালত। যার জেরে সাংসদ পদ হারাতে হয় তাঁকে। সেই কর্নাটকেও এবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।