রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগের দাবি তুলল কংগ্রেসও

ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে ফের একবার কংগ্রেসের নিশানায় মোদি সরকার। রবিবার কংগ্রেসের তরফে ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করা হয় কংগ্রেসের তরফে। বালেশ্বরের এই দুর্ঘটনাকে সামনে এনে কংগ্রেসের তরফে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলা হয়, মন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে তাঁর জনসংযোগকে হাতিয়ার করে রেলে গুরুতর ঘাটতিকে ঢাকা দিতে চাইছেন। পাশপাশি রেলের বিরুদ্ধে তোলা হয় কাজে অবহেলার অভিযোগ। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ভারতীয় রেল নিরাপত্তাকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
এরই রেশ ধরে রবিবারের নয়াদিল্লিতে যে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়, সেখানে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা এবং সাংসদ শক্তিসিং গোহিল এ অভিযোগও করেন, ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে অবহেলার কারণে। এছাড়াও দুর্ঘটনার পিছনে সিস্টেমের ত্রুটি, অযোগ্যতাকেও দায়ী করা হয়। এরই পাশাপাশি সব কিছুর পিছনে মোদি সরকারের মনোভাবকে দায়ী করে কংগ্রেস। বলা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে বলেছিলেন, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে। আর তারই রেশ ধরে কংগ্রেসের তরফ থেকে কটাক্ষা ভরে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ‘তাহলে কি তিনি সেই শাস্তি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে দিয়ে শুরু করবেন?’
প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকে সিপিআই, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউটিবি) রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেছিল। এদিন দুই কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি শুধুমাত্র বন্দেভারত এক্সপ্রেসের সবুজ পতাকা নেড়ে গিয়েছেন। আর এরই সূত্র ধরে বলা হয়, ভারতীয় রেলের সব ঠিক আছে এই মনোভাবের মুখোশ তৈরির পিছনে দায়ী প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই। এছাড়াও রেলের গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল পরিকাঠামো অবহেলায় ফেলে রাখার অভিযোগও তোলা হয় কংগ্রেসের তরফ থেকে। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করে আরও বলা হয় যে, সিএজি, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বিশেষজ্ঞদের সতর্কতার পরেও মোদি সরকার রেলের নিরাপত্তায় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করেনি।
এরই সূত্র ধরে কংগ্রেসের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সরকার কবে দেশব্যাপী কবচ অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস প্রয়োগ করবে? পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফ থেকে এও জানানো হয়, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, নীতিশ কুমার নৈতিক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। আর এখানেই কংগ্রেস শিবিরের দাবি, রেলমন্ত্রীর উচিত নৈতিক দায়িত্ব নেওয়া। কিন্তু মোদি এবং নৈতিকতা বিপরীত দিকে যাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করে কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =