নয়া দিল্লি: ২০২২-এর দিল্লি পুরনির্বাচনে কোনও জাদু দেখাতে পারেনি কংগ্রেস। পুর নির্বাচনে কেজরির ঝাড়ুতে সাফ হয়ে গেল বিজেপি। কংগ্রেস পুরনির্বাচনের ফলে কোনও চমক না দেখালেও বিরাট চমক দেখালেন কংগ্রেস সভাপতি মলিলকার্জুন খাড়গে। কারণ, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে দেখা গেল আম আদমি পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলের প্রতিনিধিদেরই।
এদিক বুধাবর থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের কৌশল কী হবে, কোন কোন বিষয়ে একত্রে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে, এমন নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠক ডাকেন কংগ্রেসের নব নির্বাচিত সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান সমমনস্ক বিরোধী দলগুলিকে।শুধু আপ বা তৃণমূলই নয় খড়গের ডাকা এই বৈঠকে যোগ দেন ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং বাম দলগুলির প্রতিনিধিরাও।
বৈঠক শেষে একটি ছবি ট্যুইট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করতে দেখা যায় বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে। যেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, সংসদের আলোচনায় বিরোধীরা আরও বেশি সুযোগ পাবেন। আমরাও সরকারের কাছে সেরকমই আশা করছি।’ চলতি অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল। ট্যুইটে সেই কথাও উল্লেখ করেন খাড়গে।
তবে এদিনের বৈঠকে আপ এবং তৃণমূলের যোগ দেওযায় এক নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সাম্প্রতিক অতীত ঘাঁটলে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গ পারতপক্ষে এড়িয়েই চলেছেন মমতা। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী মুখ কে হতে পারে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে না হলেও কোথাও একটা ঠান্ডা লডা়ই চলছিলই। তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির ক্ষেত্রেও কংগ্রেসেরও তেমন আগ্রহ চোখে পড়েনি। এর সঙ্গে বোঝার ওফর শাকের আঁটি হিসেবে ছিল, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ অধীর চৌধুরীর একের পর এক মন্তব্যও। যার জেরে কংগ্রেস-তৃণমূল দূরত্ব বাড়তেই থাকে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞ মহলের। প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন পূর্ববর্তী পর্যায়ে বিরোধীদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তবে সেই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এমনকি, এর আগে বাদল অধিবেশনের সময়েও এই ধরনের বৈঠক এড়িয়ে যায় তৃণমূল। তবে এদিন যেন এক নয়া সমীকরণএর আভাস মিলল ভারতীয় রাজনীতিতে।