নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: লোকসভা নির্বাচন কড়া নাড়ছে দরজায়। কুর্সি দখলের লড়াইয়ের ময়দানে যুযুধান প্রার্থীরা। লড়াইয়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। আর এর মাঝে একই দিনে একাধিক দলের কার্যালয়ে হানা দিয়ে কুর্সি নিয়েই চম্পট দিল চোর! লোকসভা নির্বাচনের মুখে বাঁকুড়া শহরের জনবহুল এলাকায় থাকা তৃণমূল ও বিজেপির কার্যালয়ে চেয়ার চুরির এমন ঘটনায় হতবাক দুই দলের কর্মীরাই। সাধারণ মানুষ অবশ্য এমন কাণ্ডের চর্চায় মজে তারিফ করছেন চোরের রসবোধকেই।
বাঁকুড়া শহরের রথতলা এলাকায় রয়েছে বিজেপির ৮, ৯ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কার্যালয়। ভোটের মুখে সেই কার্যালয়ে প্রায় সারাক্ষণ দলের কর্মীদের আনাগোনা রয়েছে। বিজেপির দাবি, সোমবার দুপুরের দিকে যখন কর্মীরা বাড়িতে খেতে গিয়েছিলেন সেই সময় সেখানেই হানা দেয় চোর। জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যেই দলীয় কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও টেবিল রিক্সায় চাপিয়ে চম্পট দেয় চোর। এলাকার মানুষের চোখে ধুলো দিতে রিক্সায় তোলা হয় ওই দলীয় কার্যালয়ে রাখা বেশ কিছু দলীয় পতাকাও। স্থানীয় একটি দোকানের সিসি ক্যামেরায় রিক্সায় চাপিয়ে চোরের চেয়ার নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরাও পড়ে।
তবে শুধুমাত্র বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে চেয়ার চুরি গিয়েছে এমনটা নয়। চেয়ার চুরি গিয়েছে বাঁকুড়ার রামপুরে থাকা তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়েও। রামপুর এলাকায় থাকা ৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয় থেকে ওই চেয়ারগুলি চুরি যায়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ভ্রমর চৌধুরীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাইপুরের সভায় যাওয়ার জন্য যখন তিনি ব্যস্ত ছিলেন, তখন সিভিক কর্মীর পোশাক পরে এক ব্যক্তি এসে দলীয় কার্যালয়ের চাবি চান, সিভিকের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি দলীয় কার্যালয়ে ফ্লেক্স রাখার কথা বলেন। কিছু ভাবনা চিন্তা না করে তাঁকে কার্যালয়ের চাবি দিয়ে দিলে সিভিকের পোশাক পরা ওই কর্মী দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে বেশ কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল চুরি করে নিয়ে যায়। দিনেদুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এমন চুরির ঘটনায় ওই কাউন্সিলরও বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।