নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর খোদ বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের আশপাশের এলাকা! রোগীর পরিজনদের দাবি, মেডিক্যাল কলেজের আশপাশের এলাকায় যত্রতত্র জমে বর্ষার জল। সর্বত্রই জমে আবর্জনার স্তুপ। সেখান থেকেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কাঁটা দূর দূরান্ত থেকে মেডিক্যাল কলেজে আসা রোগী ও রোগীর পরিজনরা। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শুধু বাঁকুড়া জেলার রোগীরা নন, বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলা থেকে রোগীরা বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে আসেন। রোগীর সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে আসেন রোগীর পরিজনরাও। রাতবিরেতে হাসপাতাল চত্বরেই তাঁদের পড়ে থাকতে হয়। অভিযোগ, সেই মেডিক্যাল কলেজের আশপাশের এলাকাই এখন পরিণত হয়েছে ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘরে। মেডিক্যাল কলেজের আশপাশের একাধিক রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় জমে রয়েছে বর্ষার জল। চারিদিকে জমে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ।
রোগীর পরিজনেদের দাবি, এর জেরে হাসপাতাল চত্বরে যে ভাবে মশার উপদ্রব বেড়েছে, তাতে চিকিৎসা করাতে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিজেপির বিধায়কের দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় চিন্তা বাড়াচ্ছে পুরসভার গাফিলাতি। তাঁদের দাবি, পুরসভা ও রাজ্য সরকারের গাফিলাতির কারণেই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্ত। এবার মেডিক্যাল কলেজে পরিবারের রোগীদের চিকিৎসা করাতে এসে ডেঙ্গু নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে রোগীর পরিজনদের।
অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সমস্ত ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও কোথাও খামতি থাকলে পুরসভাকে বলে সেই কাজ করানো হবে।