নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় রবিবার ভোর রাতে সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামালপুর থানার পুলিশ। দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। জামালপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মোহনপুর গ্রামের পূর্ব দোলোরডাঙা বুথের সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন সুশান্ত দেবনাথ। তাঁর স্ত্রী দেবিকা দেবনাথ জামালপুর হাটতলা বুথের বাম প্রার্থী হয়েছেন।
বাম প্রার্থীর অভিযোগ, রবিবার ভোরে আচমকা বোমার শধ হয় তাঁদের বাড়ির ভিতরে। দরজা খুলে বাইরে গিয়ে তাঁরা দেখেন চারিদিকে আগুনের ফুলকি পড়ে রয়েছে। বোমার টুকরো অংশ পড়ে জ্বলছে। দরজার সামনে আরও দুটো তাজা বোমাও পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বকে ঘটনার কথা জানান। খবর দেওয়া হয় জামালপুর থানাতেও।
সুশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই আমাদের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। আমার ভাইয়ের ফুচকার দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা আবার সেটা চালু করেছি। আমাদের ভয় দেখিয়ে কাজ হয়নি। তাই এবার বাড়িতে বোমা মেরেছে। আমরা নিশ্চিত এলাকার তৃণমূল নেতা দেবু সেনগুপ্ত, তৃণমূলের বুথ সভাপতি তারক বিশ্বাসরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ দেবিকা দেবনাথও একই দাবি করেন। এলাকার সিপিএম নেতা দেবাশিস মালিক বলেন, ‘ঘটনায় প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিক।’ ঘটনার পর থেকে তৃণমূলের দেবু সেনগুপ্ত ও তারক বিশ্বাসরা এলাকাছাড়া বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের জামালপুর ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘পঞ্চায়েতের আগে এলাকাকে অশান্ত করার জন্য সিপিএম চেষ্টা চালাচ্ছে। নিজেরাই বোমা ফাটিয়ে উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। না হলে কেউ কারও বাড়িতে বোমা সাজিয়ে রেখে আসে নাকি? আর তাছাড়া সিপিএমের যে প্রার্থীর বাড়িতে বোমা ফাটার ঘটনা ঘটেছে, সে নিজেই এলাকার বাসিন্দা নয়। কলকাতায় থাকে।’ নিজেদের দলের মধ্যেই বহিরাগত প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে এই ঘটনা বলে দাবি করেন তিনি।