ইথিলিন ও কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে দ্রুত কাঁচা আমকে পাকানোর অভিযোগ

কাঁচা আমকে তড়িঘড়ি বাজারজাত করার ক্ষেত্রে চিনা রাসায়নিক উপকরণ দিয়ে পাকানোর অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। ইংরেজবাজার শহরের আম বাজারে দেখা গেল ভিন রাজ্যে আম পাঠানোর চরম ব্যস্ততা। আমগুলি কার্টুনে ভরার সময় কার্বাইড দেওয়া হচ্ছে। মালদার বাজারে গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ, ল্যাংড়া জাতের আম চলে এসেছে। সেই আমগুলি বাজার ধরতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ইথিলিন ও কার্বাইড দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে দ্রুত কাঁচা আমকে পাকানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। অপরিপূর্ণ অবস্থায় গাছ থেকে আম পেরে সেগুলি ইথিলিন বা কার্বাইড দিয়ে প্যাকিং করা হচ্ছে। প্যাকিং করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আম পেকে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্যাকেট ইথিলিন চিন থেকে আসছে। মালদা আমের ক্ষেত্রেই জিআই ট্যাগ পেয়েছে লক্ষ্মণভোগ, ফজলি ও হিমসাগর। আমের সেরা এই মালদা জেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা লাভের জন্য তারা এইভাবে রাসায়নিক ইথিলিন, কার্বাইড দিয়ে আম পাকাচ্ছে। যদিও যারা এই কাজ করছে তাদের কথায় এই আম খেতে তেমন কোনো স্বাদ হয় না। তবুও মানুষ আম খাচ্ছে। প্যাকিং করার সঙ্গে যুক্ত এক শ্রমিক অসীম মণ্ডল জানিয়েছেন, কার্বাইড দিয়ে আম পাকানোর পর আম এখন বিহার, ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছে। মালদার বাজার থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লরি লোড করে বাইরে আম যাচ্ছে। কাঁচা অবস্থাতে আম পেরে নিয়ে কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়।
মালদার এক আম ব্যবসায়ী মনোজ ঘোষ বলেন, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ, আসাম সহ বিভিন্ন রাজ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে এবার আম দাম একটু বেশি হলেও বাজার আপাতত ঠিক আছে। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কিলো দরে আম কিনতে হয়। এরপর রপ্তানির ক্ষেত্রে প্যাকেটজাত করার সময় কার্বাইড দেওয়া হয়। তবে গাছ পাকা আম আর কার্বাইড পাকা আমের স্বাদ অনেক ফারাক আছে। মালদার উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লাইক জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমাদের আমের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। এখন বাজারে হিমসাগর, গোপালভোগ ল্যাংড়া আম উঠেছে। এই বছর ১ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। এই আমগুলি খুব সুস্বাদু। এই অবস্থায় দেখা যায় আমগুলিকে পাকানোর জন্য কার্বাইড দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে যথেষ্টভাবে সজাগ রয়েছি। বিভিন্ন মার্কেটগুলিতে পরিদর্শন করে আমচাষি এবং ব্যবসায়ীদেরকে বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 4 =