লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই যাত্রী পারাপারের অভিযোগ ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন, সোনামুখী: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোনও রকম লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই রণডিহা ড্যামে যাত্রী পারাপারের অভিযোগ ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ব্রিজের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের দামোদর নদ। এই নদের এক প্রান্তে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান এবং অপর প্রান্তে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। এই দুই জেলার যোগাযোগের শর্টকাট মাধ্যম রণডিহা ড্যাম। এই ড্যাম পারাপারের জন্য সারা বছর সাধারণ মানুষদের ভরসা ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটে নৌকার মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের পারাপার করানো হয়। আর সেখানেই দেখা গেল একেবারে অসচেতনতার ছবি!
একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষদের নদী পারাপার করতে হচ্ছে বলে দাবি। অভিযোগ, কোনও রকম লাইফ জ্যাকেট, সিকিউরিটি ছাড়াই ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষদের বছরের পর বছর এভাবেই পারাপার করছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। নদী পারাপারের সময় যদি কোনও প্রাণহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে।
সাধারণ মানুেষের দাবি, সোনামুখী ব্লকের অন্তর্গত সোনামুখী রাধামোহনপুর পূর্ব নবাসন নিত্যানন্দপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের বর্ধমান পানাগড় যেতে গেলে ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার ঘুরপথে দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে এই একই ছবি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের কাছে।
ফণিভূষণ সরকার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, ‘সারাবছর আতঙ্ক নিয়ে আমাদের এই নদী পারাপার করতে হয়। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ নদী পারাপার করেন। তাই দ্রুত দামোদর নদের ওপর ব্রিজ তৈরি করা হোক।’ সুপ্রিয়া বিশ্বাস নামে এক মহিলার দাবি, ভয়ে ভয়ে নৌকা পারাপার করতে হয় সকলকে। নদী পারাপারে দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়েছে তাই নদীতে একটি ব্রিজ তৈরি করা হলে ভীষণ উপকার হয়।

বংশী বাগদি নামে নৌকার মাঝির দাবি, ৩০ – ৩৫ বছর ধরে নৌকা চলছে এখনও পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে নৌকা পারাপারের ক্ষেত্রে কোন লাইফ জ্যাকেট নেই বলেই জানান তিনি। এ বিষয়ে সোনামুখী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘এভাবে ঝুঁকি নিয়ে আমরা নৌকা পারাপার করতে দেব না। দ্রুত লাইফ জ্যাকেট প্রদান করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =