নিজস্ব প্রতিবেদন: বাদল অধিবেশনের প্রায় শেষ লগ্নে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাজনৈতিক সৌজন্যের জোড়া নজির তৈরি হল রাজ্য বিধানসভায়। বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে উত্তরবঙ্গের গজলডোবায় ভোরের আলো পর্যটন প্রকল্প দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। আবার দুই শিবিরের ভিন্ন সম্প্রদায়ের দুই বিধায়ক নিজের কেন্দ্রে অপর সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার দাবি জানালে তাঁদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, গজলডোবার ‘মেগা টুরিজম হাব’-এর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অনেকটাই বাস্তাবায়িত হয়ে গিয়েছে। ‘ভোরের আলো’ কটেজ, যুবকল্যাণ দফতরের আবাসন, পর্যটকদের নানা ধরনের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হার্বার সেতুর আদলে প্রকল্প। এলাকায় নতুন সেতু চালু হয়েছে। একাধিক বেসরকারি হোটেলও রয়েছে। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় সেই পর্যটন কেন্দ্র দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী। বিজেপি বিধায়করা মন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই অতিরিক্ত এক প্রশ্নে কেতুগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সেখ শাহনওয়াজ তাঁর কেন্দ্রে ‘অট্টহাস’ সতীপিঠকে কেন্দ্রের পরিকাঠামো বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেন। আবার বিজেপির খেজুরি বিধানসভার বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, হিজলি শরিফে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের নিত্য যাতায়াত রয়েছে। সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য পর্যটন মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি। উভয় বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তাঁদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ইন্দ্রনীল বলেন, হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বাতাবরণ ও সংহতি রক্ষা করার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে বাংলা। এ রাজ্যের সরকারও তা নিয়ে পারস্পরিক মেলবন্ধনে সচেষ্ট।