প্রসবের দিন ছিল আসন্ন। ছুটির জন্য দরখাস্ত ও অন্যান্য দরকারি কিছু কাগজ দিতে সেন্টারে এসেছিলেন সেখানকারই এক কর্মী। আচমকা প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। ওই পরিস্থিতিতে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই প্রসব হয় তাঁর। পুত্র সন্তানের জন্ম দেন হাওড়ার পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের রধাদাসী মহাবীরতলা এলাকার সুরথমোহন পাল শিক্ষায়তনের আইসিডিএস কর্মী অঞ্জলি মুর্মু সামন্ত।
পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের আইসিডিএস সুপারভাইজার জানান, অঞ্জলি সকালে আসেন ছুটির জন্য কাগজ ও কাজের রিপোর্ট জমা দিতে । সেখানে আসার কিছুক্ষণ পরেই প্রসব যন্ত্রনা ওঠে। তিনি বট গাছের তলায় বসে পড়েন। অন্যান্য আইসিডিএস কর্মীরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ঘটনার কথা জানতে পেরে আশেপাশের বাড়ির ও পড়ুয়াদের মায়েরা এগিয়ে আসেন, তার মধ্যে রিংকু দেবী নামে এক মহিলা প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তারই সহযোগিতায় অঞ্জলিদেবী ™ুত্রসন্তান প্রসব করেন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য প্রিয়াঙ্কা পারুই। তিনি জানান ওই সময় অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছিল না, তাই নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রর পুলিশ এসে তাদের গাড়ি করেই মা ও শিশুকে ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাজী এসটি মল্লিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে চিকিৎসা করা হয় মা ও শিশুর। দু’জনেই সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন বক্সী বলেন, ‘প্রসবের পর আমাদের হাসপাতালে আসেন ওরা। আমাদের তরফ থেকে সবই করা হয়েছে। বাচ্চা এবং মায়ের আরও ভালো দেখভালের জন্য সেখান থেকে অন্য সেন্টারে রেফার করা হয়েছে। এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে ওনার প্রসবের সময় থাকলেও তার আগে প্রসব হয়ে যায়। যদিও রোগীর এটি দ্বিতীয় সন্তান।’
অন্যান্য আইসিডিএস কর্মীরা জানিয়েছেন প্রথমদিকে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও তারা মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করেছেন। এমনকি দাই মা থেকে আশা কর্মী এবং পুলিশকে খবর দেওয়া, সবটাই নিজেদের হাতে সামলেছেন। পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের আইসিডিএস সুপারভাইজার তৃণা রায় জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা প্রসবকালীন ছুটির জন্য দরখাস্ত জমা দিতে এসেছিলেন। মা এবং সন্তান সুস্থ আছে জেনে তাঁরা খুশি।