কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যোগেশচন্দ্রতেও সরস্বতী পুজোয় টেন্ডার

শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সরস্বতী পুজো করতে টেন্ডার ডাকতে দেখা গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজেও। এই প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় জানান, ‘কলেজের ছাত্র, কর্মী এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই ৯ জানুয়ারি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে।’ আর এরই রেশ ধরে পঙ্কজ রায় এও জানান, ‘খাবারের টেন্ডারের পাশাপাশি মণ্ডপ বানানোর জন্যেও কোটেশন নেওয়া হয়েছে। এখানে ৬২৫ জনের জন্যে ফ্রায়েড রাইস, ৭৫ জনের জন্য খিচুড়ির ব্যবস্থা থাকছে। সঙ্গে কাশ্মীরি আলুরদম, বেগুনি, নবরত্নকারি, পাঁপড়, টম্যাটোর চাটনি, বড় রসগোল্লার জন্যে টেন্ডার ডাকা হয়েছে।‘ তবে সব কলেজের ছবি এক নয়। কারণ, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র বা আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ অবশ্য পুজোর ভার পড়ুয়াদের হাতেই ন্যস্ত করেছে।

তবে এই ঘটনায় সামনে আসছে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ছ’বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার ছবিটাই। যে কারণে ছাত্র সংসদ সম্পূর্ণ অস্তিত্বহীন। এ নিয়ে বারবারই অভিযোগ জানানোও হয়েছিল। কারণ, অস্তিত্বহীন ছাত্র সংসদের প্রাক্তন পদাধিকারীরাই এখনও কলেজেই রয়ে গিয়েছেন। সরস্বতী পুজো করতে এই সব প্রাক্তন নেতাই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা দাবি করেন। এই প্রসঙ্গে  মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্ত জানান, ‘পড়ুয়ারাই পুজো করবে। আমাদের পরিচালন সমিতিতে এক জন ছাত্র প্রতিনিধি আছে। কালচারাল সাব-কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তিন দফায় খরচ বাবদ চেক দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রতিমা, প্যান্ডেল এবং পুজোর সরঞ্জাম কেনাকাটার জন্যে অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি দেওয়া হবে।’ একই সুর আশুতোষ কলেজের এক কর্তার গলাতেও। তিনিও জানান, ;আমাদেরও ছাত্রছাত্রীরাই পুজোর দায়িত্বে রয়েছে।’ তবে সরস্বতী পুজো করতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেন্ডার ডাকা প্রসঙ্গে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি একটু কটাক্ষের সুরেই জানান, ‘ওদের বড় ব্যাপার। আমাদের কলেজের পুজো পড়ুয়ারাই করবে। তবে টাকা খরচের দায়িত্ব শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের হাতেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 11 =