হারের কারণ অনুসন্ধানে উইলিয়ামসনদের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় কোচ টম মুডি

নেতা বদলাক, মরসুম বদলাক, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বদলায় না! কেন এমন হয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সমর্থকরা। গত মরসুমেও সানরাইজার্স সেরা ফর্মে ধারেকাছে ছিল না। ফর্মে ছিলেন না তারকা ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার। যে কারণে ক্যাপ্টেন্সি গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের। পরে টিম থেকেও বাদ পড়ে যান। তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কেন উইলিয়ামসনের কাঁধে নেতৃত্বের দায়ভার চাপিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল টিম। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। লিগ টেবলের তলানিতে থেকেই গত আইপিএল শেষ করেছিল হায়দরাবাদ। আইপিএলের এই মরসুমেরও পরিস্থিতির খুব একটা বদল দেখা যাচ্ছে না। শুরু থেকেই চাপে রয়েছে টিম। পর পর দুটো ম্যাচে হেরে বসেছে টিম। সেই অর্থে পারফর্ম করতে পারছেন না কেউই। কেন উইলিয়ামসনও ছন্দে নেই। চোট সারিয়ে আইপিএলে ফিরেছেন তিনি। সেই কারণেই কি ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না? রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যত কিছুই করতে পারেনি টিম। শনিবার আবার মহেন্দ্র সিং ধোনি-রবীন্দ্র জাডেজার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া উইলিয়ামসনরা।

টিমকে জয়ে ফেরাতে সব কোচই কিছু না কিছু করে থাকেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ টম মুডি সেই উদ্যোগই নিলেন। পুরো টিমকে নিয়ে বসলেন আলোচনায়। কোথায় সমস্যা, কোথায় এগিয়ে রয়েছে টিম, কী করলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন উইলিয়ামসনরা, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন মুডি। নিজের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে ধরেছেন, যাতে ক্রিকেটারদের তাতাতে পারেন। যাতে টিম আবার জয়ের সরণিতে ফেরে।

টিম মিটিংয়ে কী বলেছেন মুডি? ‘হাতে তিন ওভার রয়েছে। দু’জন সেট ব্যাটার ক্রিজে। ৩৩ রান দরকার জেতার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আমাদের লড়াই করতে হবে। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে আমরা মাত্র ৩৭ রান তুলতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ টিম শেষ ৫ ওভারে তুলেছে ৫৬ রান। দুটো টিমের মধ্যে এটা একটা ফারাক ছিল। আর একটা হল, বিপক্ষ টিম ১২টা ২ রান নিয়েছে। আমরা সেখানে নিতে পেরেছি মাত্র ৬টা। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা লড়াই থেকে হারিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে বড় মাঠে খেলতে নামলে ২ রানগুলো কার্যকর হয়ে যায়। আমাদের আরও বেশি রান তোলার দিকে নজর দিতে হবে।’

একটা বা দুটো হার টিমের ভুলত্রুটিই বেশি তুলে ধরে। তখন চাপা পড়ে যায় পজিটিভ দিকগুলো। মুডি অবশ্য হারের মধ্যেও ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরছেন। তাঁর কথায়, ‘ম্যাচটা হারা সত্ত্বেও কিছু পজিটিভ দিক দেখতে পেয়েছি। আর সেটা হল, আমরা সঠিক দিকে এগোচ্ছি। টিম যে ভালো খেলতে চাইছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দুরন্ত ক্রিকেট তুলে ধরার ঠিক একধাপ আগে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। এটা ঠিক যে, জেতা বা হারার মাঝে ফারাকটা খুব কম। দ্বিতীয় ম্যাচটা জিততে না পারার কারণই হল, আমরা কিছু কাজ ঠিকঠাক মেলাতে পারিনি। পরের ম্যাচে নামার আগে আমাদের হাতে কিছুটা সময় আছে। তার মধ্যে নিজেদের বদলে ফেলতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + five =