মহালয়ার দিন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ৭০-৮০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল একটি নৌকো। বেশ কয়েকজন শিশু-সহ অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত ৩০ জন এখনও নিখোঁজ। সূত্রের খবর, রবিবার বেলা দেড়টা নাগাদ বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট এলাকার আউলিয়া ঘাটের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এক্স-গ্রাসিয়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রথম থেকেই ভারসাম্যের সমস্যা ছিল নৌকোটির। ঘাট থেকে কিছুটা এগোনোর পরই নৌকোটি বিপজ্জনকভাবে দুলতে শুরু করেছিল। নৌকোটি উল্টে যেতে পারে আশঙ্কায় মাঝি ঘাটে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, ফেরার পথেই নৌকোটি ডুবে যায়। যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন। তবে, অধিকাংশ যাত্রীই ডুবে যান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তবে এখনও অনেকেই নিখোঁজ। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে ৮ জন শিশু, ১২ জন মহিলা। বাকি ৪ জন পুরুষ। ১৬ জনকে মৃত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয়। বাকি অনেককেই উদ্ধার করে বোদা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন দুর্গাপুজোর মহালয়া উপলক্ষে, বড়শশী এলাকার বদেশ্বরী মন্দিরে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যাওয়ার জন্য মাড়েয়া বাজার এলাকার আউলিয়া ঘাটে ব্যাপক জমায়েত হয়েছিল। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকোয় অন্তত ৭০-৮০ জন উঠেছিলেন। ধারণ ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি যাত্রী নিয়ে নৌকোটি বড়শশী ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। তার উপর শনিবার রাতে ওই এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায়, নদীতে জলের স্তরও বেশি ছিল।