চিপকে ধরাশায়ী চেন্নাই সুপার কিংস। ইয়েলোব্রিগেডের হাল ধরার চেষ্টা করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না। অক্ষর প্যাটেলের দিল্লি ক্যাপিটালস চেন্নাইয়ের দুর্গে ইয়েলোব্রিগেডকে হারিয়ে দিল। লোকেশ রাহুলের ১৮৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল দিল্লি। ২৬ বলে ৩০ অপরাজিত রইলেন ধোনি। সঙ্গে ৬৯ নট আউট বিজয় শঙ্কর। তাতে অবশ্য চেন্নাই শিবিরে আসেনি ২ পয়েন্ট। ২৫ রানে জয় দিল্লির। সেই সঙ্গে এ বারের আইপিএলে তিনে তিন জয়ে অনবদ্য দিল্লি।
টস জিতে চিপকে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে দিল্লি। ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুককে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান খলিল আহমেদ। শুরুতেই ওপেনিং সঙ্গীর উইকেট হারানোর পর লোকেশ রাহুল জুটি বাঁধেন অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে। পাওয়ার প্লে-র পরের ওভারে অভিষেকের উইকেট তুলে নেন রবীন্দ্র জাডেজা। ২০ বলে ৩৩ রান করেন বাংলার প্লেয়ার। এরপর ১১তম ওভারে দিল্লির ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেলকে বোল্ড আউট করেন নুর আহমেদ। ক্যাপ্টেনের ব্যাটে ১৪ বলে ২১ রান এসেছে। পাঁচে নেমে সমীর রিজভি করেন ১৫ বলে ২০। অপর প্রান্ত থেকে একের পর উইকেট পড়লেও লোকেশ রাহুলকে কেউ ফেরাতে পারছিলেন না। শেষ ওভারে তাঁর উইকেট তুলে নেন মাতিশা পাথিরানা। ৫১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস উপহার দেন রাহুল। তাঁর ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছয় এসেছে। ত্রিস্টান স্টাবস ২৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ২টি উইকেট খলিলের। ১টি করে উইকেট তোলেন রবীন্দ্র জাডেজা, নুর আহমেদ ও মাতিসা পাথিরানা।
দিল্লি ৬ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে। ঘরের মাঠে ১৮৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ধাক্কা খায় সিএসকে। ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ৬ বলে ৩ রান করেন। তাঁকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন মুকেশ কুমার। ক্যাপ্টেন ঋতুরাজের ব্যাট আজ জ্বলেনি। ৪ বলে তিনি করেন ৫। মিচেল স্টার্ক ফেরান চেন্নাই অধিনায়ককে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিনটে উইকেট হারিয়ে ফেলে সিএসকে। বিপরাজ নিগম ষষ্ঠ ওভারে তুলে নেন ওপেনার ডেভনের (১৪ ম্যাচে ১৩ রান) উইকেট। এরপর ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা শিবম দুবের উইকেটও যায় বিপরাজের ঝুলিতে। ১৫ বলে ১৮ রান শিবমের। অলরাউন্ডার জাডেজা দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। মাত্র ৩ বল খেলেন। তাতে ২ রান করে কুলদীপ যাদবকে উইকেট দেন জাড্ডু। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে বিজয় শঙ্করের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সিএসকের দুর্গে সাতে নেমেছিলেন ধোনি। দিল্লির বোলাররা বেশ চাপে রেখেছিলেন ধোনি-বিজয়কে।
ম্যাচে গতি আনতে পারছিলেন না বিজয়। দেখতে দেখতে ৪৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। যদিও শেষ অবধি ৬৯ রান অবধি তাঁর পৌঁছনো হত না। যদি দিল্লির ফিল্ডাররা ঠিকমতো ফিল্ডিংটা করতে পারতেন। পঞ্চম ওভারেই শঙ্করের রান আউট হওয়ার সুযোগ ছিল। বিজয় সেই সময় ছিলেন ৩ রানে। বিপরাজ নিগমের থ্রো ঠিকঠাক হলেই মাঠ ছাড়তে হত বিজয়কে। এরপর ১০ ও ১৩তম ওভারে বিজয়ের ক্যাচ মিস করেন যথাক্রমে কুলদীপ যাদব ও ত্রিস্টান স্টাবস। শেষ অবধি ঘরের মাঠে পরিবারের সকল সদস্যের সামনে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হল ধোনিকে। এবং তাঁর প্রিয় টিম চেন্নাইকে।
চেন্নাইয়ের দুর্গে ধোনিদের হারালেন রাহুলরা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর চিপকে আইপিএলের কোনও ম্যাচ জিতল সিএসকে।