পিটিআই সমর্থক-রেঞ্জার্স খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র লাহোর, ভিডিও বার্তা ইমরানের

অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান। আর তা সামাল কোন পথে দেওয়া হবে তা নিয়ে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় রাতেই বৈঠকে বসেন। এরপরই বুধবার সকাল থেকে ফের একদফায় নতুন করে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় ইমরান খানের বাসভবনের সামনে। পৌঁছয় একাধিক প্রিজন ভ্যান এবং উদ্ধারকারী ১১২২টি গাড়ি।

এদিকে মধ্যরাতে একটি টুইট করেন পিটিআই নেতা আসাদ উমর। টুইটে তিনি জানান, লাহোর হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চিত করেছে, আগামী ১৮ মার্চ আদালতে হাজিরা দেবেন ইমরান খান। এদিকে ইমরানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্য়েই মধ্যরাতে একটি ভিডিয়ো বার্তা দেন ইমরান খান। এই ভিডিও বার্তায় পাকিস্তানের নাগরিকদের নিজেদের অধিকারের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই ভিডিও বার্তায় তিনি এও বলেন, ‘নিজেদের অধিকার লড়াই চালিয়ে যেতে আপনাদের পথে নামতে হবে। ঈশ্বর ইমরান খানকে সব কিছুকে দিয়েছেন। আমি লড়াই করছি আপনাদের হয়ে। কিন্তু আমার কিছু হয়ে গেলে, যদি আমাকে জেলে পুরে দেয় বা মেরে ফেলে আপনাদের কিন্তু সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। প্রমাণ করতে হবে ইমরানকে ছাড়াই আপনারা লড়াই চালাতে জানেন। প্রমাণ করে দিতে হবে আপনারা কারও একনায়কত্ব মেনে ক্রীতদাস হতে রাজি নন।’ এদিকে পাক সরকারের মুখপাত্র আমির মীরের দাবি, যদি ইমরান নিজে আদালতে চলে আসেন তাহলে ভাল। নাহলে আইন আইনের পথে চলবে। তবে ইমরান খানের অভিযোগ, ‘আমার গ্রেফতারির ষড়যন্ত্র করেছে লন্ডন।‘ এর জন্য তিনি দায়ী করেন নওয়াজ শরিফকেও।

সূত্রে খবর, গত প্রায় ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইমরান খানের বাসভবনের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে প্রায় ৩০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। চোট পেয়েছেন ইমরানপন্থীরাও। ১৫ জন পিটিআই কর্মী সমর্থককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় রেঞ্জার্স।

এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের বাসভবন ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাঁকে গ্রেফতার করতে লাহোরের জামান পার্কে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর ঠিক তখনই লাহোরের জামান পার্ক এলাকায় দলের নেতাকে রক্ষা করতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইসলামের অর্থাৎ পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়।জ্বলন্ত টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ দেখানোর পালা। তা সামাল দিতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। ব্যবহার করা হয় জলকামান। এর মাঝেও পুলিশ এবং জনতার মধ্যে মারামারি-সংঘর্ষের ছবি ধরা পড়ে। তা সামাল দিতে পুলিশকে শূন্যে গুলিও চালাতে হয়। পরিস্থিতি নাগালে আনতেই টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। শূন্যে গুলি ছুড়তে দেখা যায় পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ প্রধান উসমান আনওয়ারকেও।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 19 =