বিজেপির শিক্ষা সেলের অভিযানে রণক্ষেত্র করুণাময়ী

বিজেপির শিক্ষা সেলের বিকাশ অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের বিকাশ ভবন চত্বর। মঙ্গলবার বিজেপির শিক্ষা সেলের তরফ থেকে যে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল তা জানার পরই এদিন সকাল থেকে বিকাশ ভবন চত্বরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কারণ, মঙ্গলবার বেলায় একাধিক দাবি নিয়ে বিকাশ ভবন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপির শিক্ষা সেল। আর বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের ডাকা এই কর্মসূচিতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সল্টলেক।
পরিকল্পনা অনুসারে মঙ্গলবার একটু বেলার দিকে সল্টলেক করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় জমায়েত করেন তাঁরা। এরপর এই করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের সামনেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এরপরই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয় আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে। এরপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন তাঁরা। এদিনের এই মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় রাহুল সিনহা, সজল ঘোষ, পিন্টু পাড়ুই সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্বকে।
বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, ডিএ সহ সাত দফা দাবি নিয়ে বিজেপির টিচার্স সেলের পক্ষ থেকে এদিন ডাক দেওযা হয় বিকাশ ভবন অভিযানের। কারণ, বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের থেকে দাবি তোলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগ অবিলম্বে করতে হবে। এছাড়া, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া সমেত ডিএ প্রদান করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষকর্মীদের বদলি সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্ক্রিম এ সকল স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সমগ্র দেশের মতোই পিআরটি, টিজিটি এবং পিজিটি স্কেল অবিলম্বে চালু করতে হবে। পার্শ্বশিক্ষক ভোকেশনাল এমএসকে, এসএসকে, আইসিটি শিক্ষক এবং শিক্ষা বন্ধুদের কেন্দ্রীয় নীতি মেনে ভাতা বা বেতন প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি এ দাবিও তোলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। এরকম সাত দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার এই আন্দোলন করে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মূলত, ডিএ আন্দোলন আরও শক্তিশালী করতে বিজেপির ছাতার তলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন বিকাশ ভবন অভিযান করে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন। যদিও এর আগে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ব্যাপী চলা আন্দোলনকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপিকে।
এদিনের মিছিল থেকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘নির্লজ্জতার চরমতম নিদর্শন। এটা কোনও রাজনৈতিক মিছিল নয়। রাজনৈতিক ঝান্ডা আছে ঠিকই, কিন্তু এটা আলাদা ধরনের মিছিল।‘ এভাবে প্রতিবাদ মিছিল আটকানো হলে কালিয়াগঞ্জ এর ঘটনার মতো অবস্থা হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 1 =